মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের মহারাষ্ট্রে ৪০ বছর পর গুগলের সাহায্যে নিজের বাড়িতে ফিরেছেন জীব সায়াহ্নে আসা এক বৃদ্ধা। পঞ্চুবাই (৯৩) নামে ওই বৃদ্ধা দেখতে পেলেন নাতি-নাতনিসহ পরিবারের অপর সদস্যদের। এত বছর পর তাকে ফিরে পেয়ে আনন্দে কাঁদলেন পরিবারের সদস্যরা।
মৌমাছির হামলায় ৪০ বছর আগে পরিবারের থেকে বিচ্ছিন্ন হয় যান পঞ্চুবাই। সর্বাঙ্গে ক্ষত নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পার হয়ে যান মহারাষ্ট্রের সীমান্ত। পা রাখেন মধ্যপ্রদেশের দামোশ জেলায়। শরীরে ক্ষত নিয়ে এক মহিলাকে উদ্দেশ্যহীনভাবে রাস্তায় ঘুরতে দেখে কষ্ট হয় মহারাষ্ট্রের এক ট্রাক চালকের। তিনি সেই মহিলাকে বাড়িতে নিয়ে সেবা করেন।
সুস্থ হওয়ার পর মহিলার নাম কী? বাড়ি কোথায়? কারা রয়েছেন বাড়িতে? এসব প্রশ্নের উত্তর অজানাই থেকে যায় সেই ট্রাক চালকের। মহিলা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় দীর্ঘদিন ধরে মনে করতে পারেননি বাড়ি ও পরিবারের কথা। এমনকি নিজের নামও হারিয়ে যায় তার স্মৃতি থেকে।
তাই ট্রাকচালকের ছেলে ইসরার খানের ‘আচ্চন মৌসি’ নামেই সেই পরিবার ও সকলের কাছের একজন হয়ে ওঠেন বৃদ্ধা। তবে ছোট থেকেই ইসরারের সমস্যা হয় ‘আচ্চন মৌসি’-র সঙ্গে কথা বলতে। কারণ, মৌসির মারাঠি ভাষা, যা সবসময়ই ভাবাত ছোট্ট ইসরারকে। তাই ছোট্ট ইসরার মৌসির স্নেহের ভাষা বুঝলেও মুখের ভাষা বিশেষ বুঝতে পারত না।
বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরারের সেই ভাষা সম্পর্কে কৌতুহল বাড়তে শুরু করে। অবশেষে ‘আচ্চন মৌসি’র নবতিপর হওয়া ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ইসরার। কিন্তু তাতেও খোঁজ মেলেনি পরিবারের। অবশেষে বৃদ্ধাকে অনেক জিজ্ঞাসার পর ‘খানজম নগর’, ‘পরশপুর’ নাম দুটি জানতে পারে ইসরার। তারপরই গুগল, সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে খুঁজতে শুরু করেন সে। সেখানেই মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপে ‘খানজম নগর’-এর খোঁজ পান ইসরার। তাতেই উৎসাহী হয়ে বৃদ্ধার একটি ভিডিও পাঠিয়ে ফের শুরু হয় তার বাড়ির খোঁজ। আর তাতেই কেল্লাফতে। ৪০ বছর পর খোঁজ মেলে মৌসির পরিবারের। জানা যায় ‘আচ্চন মৌসি’র আসল নাম পঞ্চুবাই।
ঠাকুমার ছবি দেখে চিনতে পারেন পঞ্চুবাইয়ের নাতি পৃথ্বী ভাইয়ালাল সিঙ্গানে। এত বছর পর বৃদ্ধাকে বাড়ি ফেরাতে পেরে আপ্লুত পঞ্চুবাইয়ের পরিজনেরা ধন্যবাদ জানান মধ্যপ্রদেশে ইসরারের পরিবারকেও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।