মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত এবং তারা ভারতের যে কোনও আগ্রাসন প্রতিহত করবে। গতকাল ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এই কথা বলা হয়েছে। লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়ে এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে, আটক ১০ ভারতীয় সেনাকে বৃহস্পতিবার রাতে ফেরত দিয়েছে চীন। এদিকে, ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে। তবে দেশটির অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, এতে ভারতের অন্তত ১৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী ২৩ জুন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে রাশিয়া, চীন ও ভারত।
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনের সাথে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হওয়ার পরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই গতকাল চীনের ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টির সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস - যার সঞ্চালন প্রায় ১৫ লাখ, ভারতকে ‘হুমকি’ হিসাবে চিহ্নিত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তিব্বতে উচুঁ পাহাড়ি এলাকায় ট্যাঙ্ক, সৈন্য এবং আর্টিলারি নিয়ে চীনের সাম্প্রতিক বিশাল মহড়ার চিত্র তুলে ধরা হয়। চীনা রাষ্ট্রীয় টিভিতে হিমালয়ের পর্বতশ্রেণীর সামনে সামরিক ড্রিলের ফুটেজ প্রকাশ করেছিল। জুনের শুরুতে এই মহড়া করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। নিজেদের অবস্থান সুরক্ষিত ও সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনে পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) প্রায় ৭ হাজার সেনা এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেইজিং ‘যে কোনও আগ্রাসন কাটিয়ে উঠতে’ প্রস্তুত। এই মহড়ার মাধ্যমে চীন বুঝিয়ে দিল যে, তারা প্রস্তুত।
এদিন লাদাখ ইস্যুতে ভারতের পদক্ষেপ নির্ধারণে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়াল বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীসহ প্রায় সব বিরোধী দলেন প্রধানরাই। তবে, দুটি গুরুত্বপূর্ণ দল দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি ও লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি-কে বৈঠকে আমন্ত্রণ না-জানানোয় অসন্তোষ তৈরি হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষে আটক ২ মেজর সহ ১০ ভারতীয় সেনার মুক্তি দিয়েছে চীন। দুই পক্ষের সামরিক পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠকের পরে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াসহ অন্যান্য সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানায়। এই বিষয়ে ভারতীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে, লাদাখে চীনের সাথে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু নিয়ে ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা। এ কারণে সমগ্র ভারতজুড়ে ডাক উঠেছে চীনা পণ্য বয়কটের। তবে চীনা পণ্য বয়কট করলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হতে পারে ভারতের বলে জানিয়েছেন দেশটির অর্থনীতিবিদরা। ভারতের খুচরা বাজার মূলত চীনা পণ্যেরই দখলে। ভারত বছরে প্রায় ৭৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে চীন থেকে। এর মধ্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন প্রায় ১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মূল্যের পণ্য। চীনা পণ্য বর্জন করা হলে তাদের এই পরিমাণ অর্থ লোকসান হবে।
এমন পরিস্থিতিতেই আগামী ২৩ জুন ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসছে রাশিয়া, চীন ও ভারত। আগে থেকে নির্ধারিত থাকলেও পূর্ব লাদাখে গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সঙ্গে ভারতের সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে নির্ধারিত সময়েই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, তিনি দেশের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র : দ্য সান, এএফপি,ইকনোমিক টাইমস, হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।