নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত অর্ধ যুগে দুটি মহাদেশীয় কাপ এবং একটি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু তারপরও খালি হাতে ফিরেছেন লিওনেল মেসি। সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো আবার ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে মাঠে নামবেন এক্ষুদে জাদুকর। তখন তার হাতে বিশ্বকাপ দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ী, সাবেক বুলগেরিয়ান ও বার্সেলোনা তারকা রিস্টো স্টইচকভ।
শুধু যে স্বপ্ন দেখেন স্টইচকভ তাও নয়, মেসির হাতে বিশ্বকাপ দেখার জন্য নিজের সেরা অর্জনকেও বিসর্জন দিতে রাজি স্টইচকভ। আর্জেন্টাইন রেডিও স্টেশন রেডিও ভিয়া ত্রিনিদাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘মেসির মতো একজন বন্ধুকে সুখি দেখতে চাইলে তাকে বিশ্বকাপ না জেতার কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে হবে। মেসিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেখতে আমি আমার গোল্ডেন বুট বদলাতেও চাই যেটা আমি ১৯৯৪ বিশ্বকাপে পেয়েছিলাম।’
ক্লাবের হয়ে ভুরিভুরি শিরোপা জিতেছেন মেসি। জিতেছেন রেকর্ড ছয়টি ব্যালন ডি’অরও। সবচেয়ে বেশি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জয়ের রেকর্ডও তার। কিন্তু জাতীয় দলের হয়ে এখনও কিছুই জিততে পারেননি তিনি। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ মুহ‚র্তে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তার। এরপর টানা দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা ফাইনালে উঠে টাই-ব্রেকারের হারেন চিলির কাছে। কিন্তু এসব হারের কারণ না খুঁজে সবাই মেসির কাঁধেই দায় দিয়েই যেন স্বস্তি খুঁজেছেন বলে মনে করেন স্টইচকভ, ‘যখনই মেসি হারে তখনই সব দোষ মেসির কাঁধে দেওয়া হয় এবং তারা নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলে না। দক্ষিণ আফ্রিকায় (২০১০ বিশ্বকাপে) তাদের দারুণ একটি দল ছিল কিন্তু তারা কি করেছে এবং কেন? কেউ সেটা জিজ্ঞাসা করেনি। পরে ব্রাজিল বিশ্বকাপ ফাইনালে গিয়ে তারা হারে যেখানে তার সতীর্থ নিশ্চিত সুযোগ পেয়েও মিস করেছে। কিন্তু দোষ মেসির কাঁধে এবং মেসি হেরেছে। কোপা আমেরিকায় দুইটি ফাইনাল তারা পেনাল্টিতে হেরেছে। এবং আরও একবার মেসি জিততে পারেনি। কিন্তু মেসি যে সকল এসিস্ট করেছিল সেটা যারা গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের সঙ্গে কি করেছি? তারা পালিয়েছে।’
তবে ২০২২ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার কিছু একটা করে দেখানোর সুযোগ বলে মনে করেন এ বুলগেরিয়ান, ‘আগে আর পরে মেসির দূতি কমবে।
তখন আমরা মূল্য বুঝতে পারবো এসব ফুটবলের জন্যই ছিল। আমার বিশ্বাস ২০২২ সালে কাতারে তাদের বিশ্বকাপ জেতার শেষ সুযোগ। লাউতারো মার্তিনেজ এবং পাওলো দিবালার সঙ্গে শেষবারের মতো সের্জিও আগুয়েরো ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে নিয়ে তাদের প্রতিদ্ব›দ্বী একটি দল হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।