গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঈদে ঘরে থাকার নির্দেশনা অমান্য করে রাজধানীর হাতিরঝিলে ভিড় জমিয়েছে মানুষ। সোমবার ঈদের দিন সকাল থেকে শত শত দর্শনার্থী ভিড় জমায় হাতিরঝিলের বিভিন্ন স্থানে। বেলা ১১টার পর ভিড় ক্রমে বাড়ে। দুপুরে রোদের প্রখরতায় অবশ্য ফাঁকা হয়ে যায়। বিকাল চারটার পর আবার ভিড় বাড়তে শুরু করে। করোনার মধ্যে এভাবে শত শত মানুষের ভিড় দেখে বিস্মিত অনেকেই। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কি করছে। জানতে চাইলে হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে ডিউটি করছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই মানুষকে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে। ভিড় ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন সাংবাদিক টেলিফোনে জানান, বিকাল চার টার পর থেকে প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশায় করে শত শত মানুষ আসতে থাকে হাতিরঝিলে। এর মধ্যে তরুণ-তরুণীর সংখ্যাই বেশি। তারা হাতিরঝিলের বিভিন্ন স্পটে আড্ডা দিচ্ছে। অনেকে আড্ডা দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়েও। কেউ এসেছেন বন্ধু বান্ধবের সাথে। ফটো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কয়েকজন নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন। তারা বলেন, ঈদের দিন পুরো রাজধানীই ফাঁকা। তাই তারা হাতিরঝিলে একটু ঘুরতে এসেছেন। কিন্তু এখানে এতো মানুষ আসবে তা তাদের জানা ছিল না।
হাতিঝিলে কেনো এসেছেন? এক যুবকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেনো আসছি জানি না। তবে আসার জন্য দুঃখিত। আরেকজন বলেন, একটু দেখতে আসলাম রাস্তা-ঘাটের পরিবেশ কেমন। তবে আসাটা ঠিক হয়নি।
এখানে বাসে আড্ডা দিচ্ছেন কেনো এমন প্রশ্নে এক ব্যক্তি বলেন, বনশ্রী যাওয়া জন্য বের হয়েছি। তবে এখানে বসে অন্যয় করেছি। আমি এক্ষণি চলে যাচ্ছি।
এদিকে, প্রতিবছর ঈদের দিন রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে থাকতো লোকে লোকারণ্য৷ কিন্তু এবছর মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সেই চিত্র চোখে পড়েনি। নেই ঈদের সেই আমেজ। রাজধানীর অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ। সে কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলো থেকে ফিরে যাচ্ছে মানুষ।
শ্যামলীর এক বাসিন্দা ইনকিলাবকে জানান, সোমবার (২৫ মে) বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী শিশু মেলা বা ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডের সামনে দেখা গেছে অনেকে এসে ফেরত যাচ্ছেন।
শিশু মেলার গেটের সামনে কিছুক্ষণ পর পর দর্শনার্থীদের হালকা ভিড় জমছে। পরে অবশ্য হতাশ হয়ে ফেরত যেতে হচ্ছে। করোনার জন্য বন্ধ দেখে আবার চলে যাচ্ছে। আবার কিছু শিশুদের দেখা গেছে গেটের ফাঁকা দিয়ে শিশু মেলার ভেতরে দেখার চেষ্টা করছে। রাকিব নামে এক কিশোর বলে, প্রতিবছর ঈদের দিন বন্ধুদের নিয়ে বা বাবা মায়ের সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াই। কিন্তু এইবার করোনার কারণে সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। রাস্তাঘাট সব কিছুই খালি। বড় ভাইয়ের সঙ্গে এলাম শিশু মেলায় ঘুরতে, কিন্তু এসে দেখি বন্ধ।
করোনার মধ্যে কেন বাইরে ঘুরতে এসেছে? এমন প্রশ্নে ওই কিশোর বলে, করোনার কারণে এতোদিন বাসায়ই ছিলাম। আজ ঈদের দিনেও যদি বের না হতে পারি তাহলে তো ঈদ ঈদ মনেই হবে না। তাই আসলাম। এখন বাসায় চলে যাবো।
শিশু মেলায় আসা অন্য এক দর্শনার্থী শাহনাজ বেগম বলেন, ঈদের দিন আমার ছোট মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। কিন্তু সব কিছুই বন্ধ পাচ্ছি। চিড়িয়াখানায় গেলাম সেখানে দেখি বন্ধ। এখন শিশু মেলায় আসলাম এখানে এসেও দেখি বন্ধ। মেয়েটাকে এবার কোথাও ঘুরাতে পারবো না, সেটাই কষ্ট।
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান, শিশু মেলা, চিড়িয়াখানা, ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবর ঘুরে একই রকম চিত্র দেখা গেছে। ঈদের দিন হলেও কেউ বের হচ্ছে না। সবাই বাসায় বসেই ঈদ পালন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।