বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা যুবলীগ কর্মী তাপস দাসের খুণিদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছির ও সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের দুই সহস্রাধিক নেতা কর্মীর। । আজ বেলা ১১টায় বাউফল পৌর শহরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাউফল শহড় জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বাউফল পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
সুত্রে জানা গেছে, তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার দুপুরে বাউফলের সংসদ সদস্য ,সাবেক চীফ হুইপ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আসম ফিরোজের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সাথে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (২৯)কে ধারালো অ¯্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মেয়র সমর্থিত কর্মীরা। এ ঘটনায় আহত হয় উভয় পক্ষের ১০ নেতা কর্মী। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস ও ইমাম নামের আরেক যুবলীগ কর্মীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিনই রাত ৮টার পরে তাপসের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাউফল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠন বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। আজ সোমবার সকালে তাপসের খুনিদের গ্রপ্তার ও বিচারের দাবীতে উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস জনতা ভবন থেকে দুই সহস্রাধিক নেতা কর্মী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে থানা ডাক বাংলোর সামনে ইলিশ চত্বরে সমাবেশ করে। এ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওয়াদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পৌর আওয়ামলীগের সভাপতি নাজির পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ মনির হোসেন মোল্লা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে বিভিন্ন জাতীয় উৎসব উপলক্ষে সরকারের শুভেচ্ছাসহ সচেতনতা মূলক তোরণ নির্মাণ হয়ে আসছে। কিন্তু পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল তার সমর্থিত কর্মীদের নিয়ে ওই স্থানে পরিকল্পিত ভাবে তোরণ নির্মাণের চেষ্টা করে। এ সময় তোরণ নির্মানের নিষেধ করলে পুলিশ প্রশাসনের সামনে তাদের উপর সশ¯্র হামলা চালায়। এ ঘটনায় জড়িত পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও তার সহযোগীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা না হলে বাউফলের সার্বিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে বলে হুশিয়ার করেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গতকাল বলেন, এ হত্যার সাথে তিনি বা তার কোন নেতা কর্মী জড়িত না। সে করোনা ভাইরাসের উপর সচেতনতা মূলক একটি সৌজন্য তোরণ করতে গেলে চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক ও তার লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।তবে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে ,অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।