নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে ভেস্তে গেছে বাংলাদেশ ফুটবলের একটি মৌসুম। মাত্র ষষ্ঠ রাউন্ড পর্যন্ত মাঠে গড়ানোর পর অবশেষে বাতিলই ঘোষণা করা হয়েছে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ সংস্করণ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাহী কমিটি ১৭ মে জরুরি সভার মাধ্যমে বাতিল করে এবারের বিপিএল এবং ২০১৯-২০ ফুটবল মৌসুম। এই ঘোষণায় একদিক দিয়ে বিপিএলের ক্লাবগুলোর মাঝে স্বস্তি ফিরলেও কিছুটা জটিলতা রয়েই গেছে। এর অন্যতম হচ্ছে- লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) কাপের খেলা নিয়ে। ঘরোয়া মৌসুম বাতিল হলেও বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের ম্যাচ রয়েছে সামনে। যদিও করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিশ্বের অন্যান্য টুর্নামেন্টের মতো এএফসি কাপের ম্যাচও স্থগিত আছে। তবে অপেক্ষার প্রহর গুণছে বসুন্ধরা কিংস। এএফসি কাপে বসুন্ধরার বাকি ম্যাচগুলো কবে হবে, তা নিয়ে এক প্রকার অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইতোমধ্যে এএফসি’র কাছে চিঠি দিয়েছে বসুন্ধরা।
ক্লাবটির আরো কিছু সমস্যাও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। খরচ যাতে না বাড়ে সে জন্য বিপিএলের প্রায় সব ক্লাবই যেখানে তাদের বিদেশি খেলোয়াড় বিদায় করে দিচ্ছে সেখানে এএফসি কাপে খেলার অপেক্ষায় বসুন্ধরা বিদায় করতে পারছে না তাদের বিদেশি খেলোয়াড়দের। দলের কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের সঙ্গে চলতি মাস পর্যন্তই চুক্তি আছে বসুন্ধরার। চুক্তির শেষ দিকে এসে ২২ মে কলিনদ্রেস ঢাকা ছাড়তে চাইছেন। বসুন্ধরা চাইছে ঢাকা ছাড়ার আগেই যেন কলিন্দ্রেস পরের মৌসুমের জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু এএফসি কাপের অনিশ্চিত অবস্থায় কলিন্দ্রেস-বসুন্ধরা চুক্তিটিও ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। এ জন্যই এএফসির নির্দেশনা চেয়ে চিঠি দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ক্লাবের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘ ঘরোয়া ফুটবল মৌসুম বাতিল হলেও আমাদের এএফসি কাপ তো বাতিল হয়নি। এখন এএফসি কাপের খেলা কবে হতে পারে কিংবা আদৌ বাকি ম্যাচগুলো হবে কিনা, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে এএফসির কাছে জানতে চেয়েছি আমরা। এএফসি কাপের বাকি ম্যাচগুলো শুরুর সময় জানতে পারলে অপেক্ষার প্রহল গুণতে হবেনা আমাদের। তখন কলিন্দ্রেসসহ অন্যদের সঙ্গেও চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।