Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হা-হুতাশ ভারতীয় পণ্য বিক্রেতাদের

মার্কেট বন্ধে স্বস্তির নিঃশ্বাস চট্টগ্রামবাসী ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১১ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

ঈদের বাজারে ভারতীয় পণ্যসামগ্রীর জমকালো বেচাকেনায় দেশের অন্যতম প্রধান গন্তব্য তথা ডাম্পিং শহর বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। শাড়ি, থ্রি-পিস, টু-পিস, টপস, লেহেঙ্গা, শিশু-কিশোরদের তৈরি পোশাকসহ হরেক ঈদবস্ত্র থেকে শুরু করে চুড়ি-প্রসাধন প্রতিবছর ঈদ এলে কিছুই বিকিকিনি বাদ যায় না। করোনা-দুর্যোগে দেশবাসীর ত্রাহি দশা। ঈদ বিলাস আছে ক’জনার! লকডাউন ভেঙে মার্কেটে শপিং মলে ভিড় জটলা ঠেলে জীবনের ঝুঁকি কে নেবে? অথচ এহেন সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেও জনগণের মনোভাবের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন অতিলোভী ভারতীয় পণ্য কারবারী সংঘবদ্ধ সেই সিন্ডিকেট।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতীয় ঈদবস্ত্রসহ হরেক পণ্যের চোরাকারবারী, ব্যবসায়ী- দোকানিদের চক্রটি রোজার অনেক আগেই বিপুল মজুদ গড়ে তোলেন বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের এক ডজন মার্কেটে। এমনকি পাহাড়তলী, নাসিরাবাদে কল-কারখানার গুদামেও ঈদের পণ্য গোপনে স্টক করে রাখেন। মার্কেটে মার্কেটে জোগান দেয়া শুধুই সময়ের ব্যাপার মাত্র।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী, মার্কেট শপিং মল, দোকান মালিক এমনকি কর্মচারীরা বাস্তবতা বিবেচনায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে গতকাল খোলেনি কোন মার্কেট শপিং মল বিপণিকেন্দ্র। অবশেষে হা-হুতাশ বিরাজ করছে ভারতীয় পণ্য বিক্রেতাদের মাঝে। তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। কেননা এদেশের ক্রেতা-বিক্রেতাদের জনস্বার্থে এবং দেশপ্রেমের মানসিকতার কাছে ঈদ বাজারময় অতীতের মতো ভারতীয় পণ্য ডাম্পিংয়ের যাবতীয় কসরৎ ভেস্তে যেতে বাধ্য হয়েছে।

মার্কেট বন্ধে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন চট্টগ্রামবাসী ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। করোনা-ঝুঁকি, দোকানিদের লোকসান আর বাজারময় ভারতীয় ঈদবস্ত্র ডাম্পিং এড়ানো গেলো। গতকাল নগরীর সচেতন নাগরিকদের এখানে-সেখানে সন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমসহ ব্যবসায়ী নেতারা জানান, ‘জীবন আগে বাঁচাতে হবে। মানুষ বেঁচে থাকলেই তো জীবিকা আহরণের উপায় বেরিয়ে আসবে। সরকার প্রধানও তা চাইছেন। প্রশাসন সংক্রমণরোধে যেসব শর্ত দিয়েছে তা জনস্বার্থে মেনে চলাই কল্যাণকর’।
ভারতীয় শাড়িসহ ঈদবস্ত্রের গুণগত মানও যে দেশিয় বস্ত্রের তুলনায় অনেক পেছনে তা ভোক্তা-ক্রেতা এমনকি ব্যবসায়ীরাও একবাক্যে স্বীকার করেন। তবুও ভারতীয় কাপড় কিনে ‘ঈদ আনন্দ’ যেন কারও কারও ‘যুক্তিহীন’ আবদার! এর জন্য একশ্রেণির ক্রেতা-বিক্রেতার মানসিকতা দায়ী বলেই মনে করেন চট্টগ্রামের সচেতন নাগরিকমহল। নইলে বাংলাদেশের জামদানী, বেনারসি, ঢাকাই, টাঙ্গাইল শাড়ি, সিল্ক থেকে শুরু করে রকমারি বুটিক-বাটিক বস্ত্র ভারতীয় বস্ত্রের তুলনায় গুণেমানে শীর্ষে এবং তা স্বীকৃত।



 

Show all comments
  • Nannu chowhan ১১ মে, ২০২০, ৮:২৩ এএম says : 0
    Je jati nijer desher ponno shamogrike bebohare prodhanno ni dia onno desher ponno shamogrir proti akrishto ba prodhanno dei shei jatir desho prem shondihatito
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ