Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০২০, ১২:০২ এএম

সকল শিক্ষার্থীকে কিট অ্যালাউন্স প্রদান করা হোক

সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি ও উপস্থিতি নিয়মিতকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়। উপবৃত্তি প্রদানের ফলে ভর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া। প্রতি তিন মাস অন্তর বছরে চারবার উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের মা/অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের হিসাবে জমা হয়। কিন্তু নানা কারণে গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের টাকা নির্দিষ্ট সময়ে দেওয়া হয় নি৷ তাছাড়া, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে বিদ্যালয় বন্ধ। তাই, কর্তৃপক্ষ আসন্ন ঈদের আগেই ওই ৩ মাস এবং চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসের টাকা একসাথে দিতে যাচ্ছে। এছাড়াও, এর সাথে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণানুযায়ী শিক্ষার্থীদের জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য কিট অ্যালাউন্স বাবদ ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উপবৃত্তি নীতিমালা অনুসরণপূর্বক কেবল নির্বাচিত সুবিধাভোগীদেরকেই উক্ত টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে করে যারা বার্ষিক পরীক্ষায় কৃতকার্যতা কিংবা ৮৫% উপস্থিতির শর্ত পূরণে ব্যর্থ তারা এই বিশেষ উপহার থেকে বঞ্চিত হবে। উল্লেখ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষার্থীই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এতে করে বঞ্চিত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হবে। ফলে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মূলতঃ উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে তা ব্যাহত হতে পারে। তাই, কর্তৃপক্ষ সমীপে সকল শিক্ষার্থীকে কিট অ্যালাউন্সের অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিনীত অনুরোধ করছি।
আবু ফারুক
সহকারী শিক্ষক,
ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বান্দরবান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন