নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ বাংলাদেশের এক হাজার ক্রীড়াবিদ সরকারের অর্থ সহায়তা পাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী করোনা দুর্যোগে সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশে স্বল্প আয়ের অনেক কোচ ও খেলোয়াড় অসহায় হয়ে পড়েছেন। তারা এখন মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। তবে স্বস্থির খবর হলো সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর স্বচ্ছল ব্যক্তি ও ফেডারেশনের কর্তারা নিজেদের মতো করে করোনা দুর্যোগে অসহায় ক্রীড়াবিদদের সহায়তা করে আসছেন। এ ধারাবাহিকতায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ক্রীড়াবিদদের সহযোগিতায় এবার এগিয়ে এসেছে সরকার। করোনাভাইরাস আতঙ্কে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ক্রীড়াবিদদের তালিকা করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। অসহায় ক্রীড়াবিদদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় তার উপায় বের করতে বুধবার দুপুরে এক সভায় বসেছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ২৭ ক্রীড়া ফেডারেশনের ১০০০ জন ক্রীড়াবিদকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন,‘করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব আজ স্থবির ও আতঙ্কিত। এক সঙ্গে এত মানুষ ঘরবন্দী- এমন দূর্যোগ বিশ্ববাসী আগে দেখেছে কিনা তা আমার জানা নেই। এই দুর্যোগে সকল মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ক্রীড়াঙ্গন তার বাইরে নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাস এমন সময় আক্রমণ করেছে যখন আমাদের সব ধরনের খেলাই চলছিল। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলা, যেগুলো খেলোয়াড়দের সারা বছরের একটা আয়ের উৎস। খেলা বন্ধ হওয়ার কারণে সকলেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে আমরা কয়েকদিন আগে একটি সভা করেছিলাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে। আজ (বুধবার) দ্বিতীয় সভা করলাম।’
রাসেল যোগ করেন,‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং কয়েকজনকে বলে দেবেন, যারা খেলোয়াড়দের মানবিক সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসবেন। সেই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সহায়তা করবো। যৌথভাবে আমরা অসহায় ক্রীড়াবিদদের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়ার চেষ্টায় আছি। প্রথম ধাপে আমরা বিভিন্ন ফেডারেশন থেকে প্রায় ১০০০ অসহায় ক্রীড়াবিদদের সহায়তা দেবো। আপাতত ২৭ ফেডারেশন থেকে বেছে নেয়া হয়েছে ক্রীড়াবিদদের। যাদের সহায়তা না দিলেই নয় তাদের তালিকা আনছি। প্রত্যেককে আমরা ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার চিন্তাভাবনা করছি।’ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,‘এছাড়া দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা আছে। ক্রীড়াঙ্গনে কেন তা থাকবে না? আমরা ইতোমধ্যে এই ভাতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে তা স্থগিত করেছি। ঈদের পর আমরা ঐ সহায়তাও দিতে পারব। ৬৪ জেলাকে আমরা চিঠি দিচ্ছি। করোনায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা করে এককালীন ২৪ হাজার টাকা দেব আমরা। তাতে ক্রীড়াবিদরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।