Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারী ক্রীড়াবিদদের সম্মান জানালো ক্রীড়া লেখক সমিতি

প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : দেশের কৃতী নারী ক্রীড়াবিদদের সম্মান জানালো বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি। ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ফাউন্ডেশন অদম্য নারী’র ব্যানারে ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জনের জন্য ২১ জন মহীয়সী নারীকে সম্মাননা জানিয়েছে তারা। গতকাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি অদম্য এই নারীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। এ সময় ক্রীড়া লেখক সমিতির সভাপতি মোস্তফা মামুন, সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুজ্জামান রাজীব ও সাবেক সভাপতি হাসানউল্লাহ খান রানা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরে বাংলাদেশের পক্ষে ২০ জন স্বর্ণপদক জয়ী নারী ক্রীড়াবিদকে সম্মাননা জানানো হয়। তারা হলেন Ñ মাহফুজা খাতুন শিলা (সাঁতার), মাবিয়া আক্তার সীমান্ত (ভারোত্তোলন), শারমিন ফারজানা রুমি (তায়কোয়ান্ডো), শাম্মী আক্তার (তায়কোয়ান্ডো), মুন্নি খানম (কারাতে), জ উ প্রæ (কারাতে), উসাইনু মারমা (কারাতে), মরিয়ম খাতুন (কারাতে), ইতি ইসলাম (উশু), শারমিন আক্তার রতœা (শ্যুটিং), সৈয়দা সাদিয়া সুলতানা (শ্যুটিং), তৃপ্তি দত্ত (শ্যুটিং), শারমিন আক্তার (শ্যুটিং), ফৌজিয়া হুদা জুঁই (অ্যাথলেটিকস), লাভলী চৌধুরী আঁখি (শ্যুটিং), রহিমা খানম যুঁথি (অ্যাথলেটিকস), সাবরিনা সুলতানা (শ্যুটিং), কাজী শাহানা পারভীন (শ্যুটিং), মোল্লা সাবিরা সুলতানা (ভারোত্তোলন) ও শাহরিয়া সুলতানা সুচি (ভারোত্তোলন)। এছাড়া ক্রীড়ায় বিশেষ অবদান রাখায় দাবাড়– রানী হামিদকে দেয়া হয় বিশেষ সম্মাননা।
দেশের নারী ক্রীড়াবিদদের আদর্শ দাবাড়– রানী হামিদ। যাকে সবাই দাবার রানী বলেই জানেন। সেই রানী হামিদ বিশেষ সম্মাননা পেয়ে দারুন খুশী। তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। অদম্য নারীÑএমন পুরস্কার পেয়ে খুব ভালো লাগছে। অনেককেই আজ দেখতে পাচ্ছি এই অনুষ্ঠানের কারণেই। তাই আমার মনটাও ভালো। বিদেশের মাটিতে লাল সবুজের পতাকা উড়ানো এই মেয়েদের দেখে আমি খুব আনন্দিত। ধীরে ধীরে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে, এ আশাই করি।’
১৯৯১ ও ’৯৯ সাফ গেমসে স্বর্ণ জয়ী শুটার কাজী শাহানা পারভীন বলেন, ‘অদম্য নারী শিরোনাম শুনলেই স্পিড বেড়ে যায়। খুব ভালো লাগছে সম্মাননা পেয়ে।’ দেশের প্রথম স্বর্ণজয়ী নারী এই ক্রীড়াবিদ বলেন, ‘আমাদের সময়ে অনেক মনযোগী ছিলাম। কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে সেরকমটা দেখা যায় না। তাছাড়া সময় দিতে পারি না বলে তেমন খোঁজ খবরও রাখি না বর্তমান শুটিয়ের। নতুনদের জন্য শুধু এটুকুই বলব, সাধনা কর, ফল পাবে।’ ১৯৯৩ ও ’৯৯ সাফ গেমসে স্বর্ণজয়ী শুটার সাবরিনা সুলতানা বলেন, ‘অদম্য নারী শব্দ দু’টাই ভালো লাগে। দেশের মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে এটা ভাবতেই ভালো লাগে। তবে মাঝে সাঝে হতাশ হই যখন শুটিংয়ের মেয়েদের মধ্যে ইচ্ছাশক্তির অভাব দেখি। তাদের মধ্যে সাধনার ইচ্ছা কমে গেছে। আমাদের সময়ে ক্যাম্প বন্ধ থাকলে নিজেদের গুলি দিয়েই প্রশিক্ষণ করতাম। কিন্তু এখনকার মেয়েদের মধ্যে ভাবটা এমন, ক্যাম্প বন্ধ তো আমাদের অনুশীলনও বন্ধÑএমনটাই।’ গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে দু’টি স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলার কথা, ‘স্বর্ণজয়ের পর যেন সংবর্ধনায় ভাসছি। তবে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন ক্রীড়ালেখক সমিতির কাছ থেকে এমন সম্মাননা পেয়ে আমি গর্বিত। আশাকরি এই পুরস্কার আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’ একই আসরে আরেক স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বলেন, ‘গৌহাটি থেকে স্বর্ণজয়ের পর আমার জীবনে আশাতীত পরিবর্তন এসেছে। আমি চেষ্টা করবো সাফল্য ধরে রাখতে। নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে সাংবাদিকদের কাছ থেকে সম্মাননা পেয়ে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নারী ক্রীড়াবিদদের সম্মান জানালো ক্রীড়া লেখক সমিতি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ