নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কাছ থেকে আর্থিক পুরস্কার পেয়ে দারুণ উচ্ছ¡সিত গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে পদকজয়ী ক্রীড়াবিদরা। ১২তম এসএ গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে পদকজয়ীদের আর্থিক পুরস্কার গতকাল দিয়েছে বিওএ। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের বল রুমে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পদকজয়ী বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদের হাতে এই আর্থিক পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। বিওএ’র প্রতিশ্রæতি অনুযায়ীই ক্রীড়াবিদরা এই পুরস্কার পেয়েছেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসএ গেমসে পদকজয়ীদের হাতে আর্থিক পুরস্কারের চেক তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার এমপি ও উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এমপি। উপস্থিত ছিলেন বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, চার সহ-সভাপতি, দুই উপ-মহাসচিব ও কোষাধ্যক্ষসহ অন্য কর্মকর্তারা।
১২তম এসএ গেমসে দেশের হয়ে পদক জিততে পারলে লাল-সবুজের ক্রীড়াবিদদের আর্থিক পুরস্কার দেয়া হবে। বাংলাদেশ বিওএ’র এই প্রতিশ্রæতি ছিল আগেই। তাদের ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়েই গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা চারটি স্বর্ণ, ১৫ রৌপ্য ও ৫৬ ব্রোঞ্জসহ ৭৫টি পদক জিতে কিছুটা হলেও দেশের মান রেখেছেন। আর তাই প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী এই পদক জয়ীদেরই নগদ প্রায় এক কোটি ২১ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে দেশের অলিম্পিক সংস্থা।
দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমসে এবার বাংলাদেশের হয়ে পদক জেতা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে স্বর্ণজয়ীরা পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা করে। সে হিসেবে চার স্বর্ণপদকজয়ী তিন ক্রীড়াবিদ সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা ১০ লাখ এবং শুটার শাকিল আহমেদ ও ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সিমান্ত পান পাঁচ লাখ টাকা করে। এছাড়া ব্যক্তিগত ও দলীয় ডিসিপ্লিনের ১৫টি ইভেন্টে রৌপ্যপদক জয়ী লাল-সবুজ ক্রীড়াবিদরা পান তিন লাখ করে মোট ৪৫ লাখ টাকা। এবং দলীয় ও ব্যক্তিগত ইভেন্টের ৫৬টি ব্রোঞ্জপদক জয়ীদের দেয়া হয় ৫৬ লাখ টাকা। রৌপ্যজয়ী ১৫টি ডিসিপ্লিন হলোÑ শুটিংয়ের পুুরুষদের ব্যক্তিগত ১০ মিটার রাইফেলে শোভন চৌধুরী, কুস্তির ৬০ কেজিতে রিনা আক্তার, ৬৩ কেজিতে ফারজানা শারমিন, ৬৯ কেজিতে শিরিন সুলতানা, ভারোত্তোলনের ৫৮ কেজিতে ফুলপতি চাকমা, ৬৯ কেজিতে সাথী সুলতানা, শুটিংয়ে মহিলাদের দলগত ১০ মিটার এয়ার পিস্তল, শুটিংয়ে পুরুষদের দলগত ১০ মিটার এয়ার রাইফেল, মহিলা হ্যান্ডবল দল, কাবাডির মহিলা দল, খো খো’র পুরুষ ও মহিলা দল, আরচ্যারির কম্পাউন্ড, রিকার্ভ মিশ্র ও কম্পাউন্ড মিশ্র দল।
ব্রোঞ্জজয়ীদের মধ্যে এক লাখ টাকা করে পান- ভারোত্তোলনের ৬২ কেজিতে মোস্তাইন বিল্লাহ, ৪৮ কেজিতে মোল্লা সাবিরা ও ৭৫ কেজিতে ফিরোজা পারভীন। কুস্তির ৮৬ কেজিতে মোহাম্মদ রেহমান, ৯৭ কেজিতে বিলাল হোসেন, ৪৮ কেজিতে নদী চাকমা, ৫৩ কেজিতে নাসিমা আক্তার, ৫৫ কেজিতে সুমা চৌধুরী, ৫৮ কেজিতে তানজিনা মাসুদি এবং ৭৫ কেজিতে মিনা খাতুন। জুডোর ৫২ কেজিতে তাহমিদা তাবাসসুম জেরিন ও ৮১ কেজি ওজন শ্রেণীতে হাবিবুর রহমান, সাঁতারে ৫০, ১০০, ২০০, ১৫০০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে মাহফিজুর রহমান সাগর চারটি, ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে শাহজাহান আলী, ২০০ মিটার বাটারফ্লাই, ২০০ ও ৪০০ মিটার ইন্ডিভিজুয়াল মিডলেতে জুয়েল আহমেদ তিনটি, ৪ গুণিতক ১০০ ও ৪ গুণিতক ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ও ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক এবং ৪ গুণিতক ১০০ মিটার মিডলে রিলেতে পুরুষ সাঁতার দল। মহিলা সাঁতারুদের মধ্যে ১০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে চাতাত অরোরা, ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে রোমানা আক্তার এবং ৪ গুণিতক ১০০ মিটার মিডলে রিলে দল। টেবিল টেনিসের দলগত ইভেন্টে মহিলা দল। তায়কোয়ানডোতে ৮৭ কেজিতে মিজানুর রহমান, ৪৯ কেজিতে প্রভা চাকমা ও সুমনা মুন্নি, ৪৬ কেজিতে ব্রোঞ্জ জেতেন। উশুর থাউলুতে রহমতউল্লাহ কিশোর, সান্দাতে-৫২ কেজিতে নুর বানু, -৬০ কেজিতে মিলন আলী, -৭০ কেজিতে আনিসুর রহমান ও মহিলা বিভাগে ফরিদা পারভীন এবং বক্সিংয়ের ৭৫ কেজিতে বাসোনা খন্দকার, ৫১ কেজিতে শামীমা আক্তার, ৬৯ কেজি আবদুর রহিম ও ৫৬ কেজিতে অহিদুজ্জামান। দলীয় ইভেন্টগুলোর মধ্যে আরচ্যারির রিকার্ভ বোতে, কম্পাউন্ড বিভাগের পুরুষ ও মহিলা বিভাগে, অ্যাথলেটিকসের মহিলা বিভাগে ৪ গুণিতক ১০০ ও চার গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে দুটি, ব্যাডমিন্টন ডিসিপ্লিনের পুরুষ ও মহিলা দলগতে দুটি, হকি, পুরুষ ও মহিলা ফুটবল, হ্যান্ডবলের পুরুষ দল, কাবাডির পুরুষ দল, শুটিংয়ের ৫০ মিটার পুরুষ পিস্তল টিম ইভেন্ট, মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলর দলগত ইভেন্ট এবং স্কোয়াশের পুরুষ দলগত বিভাগের দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।