মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশাল মাপের এক গ্রহাণু যে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছিল, একথা আগেই জানিয়েছিল নাসা। পৃথিবীর কাছাকাছি এলেও আছড়ে পড়ার যে কোনও সম্ভাবনা ছিল না, তা অবশ্য স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবু আগ্রহের কমতি ছিল না অনেকটা মাস্কের মতো দেখতে, প্রায় এভারেস্টের সমান বিশালাকার গ্রহাণু ১৯৯৮ ওআর২-কে নিয়ে।
এর আগে ১৯৯৮ সালে দেখা গিয়েছিল গ্রহাণু ওআর২। মহাকাশবিজ্ঞানীদের মতে, সেই থেকেই গ্রহাণু গতিপথ চিহ্নিত করে নজর রাখা হচ্ছিল। নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, ওআর২ এর কক্ষপথ দেখে বোঝা যাচ্ছে, আগামী ২০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুর টক্কর লাগবে না। তবে ২০৭৯ সালে ফের পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে পারে গ্রহাণুটি।
বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুর ধাক্কা থেকে বাঁচতে বহু উপায় নিয়ে খোঁজখবর চালিয়ে যাচ্ছে নাসা। মহাজাগতিক সংঘর্ষ রুখতে নিয়মিত গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণ জ্ঞান অনুযায়ী, পৃথিবীর অত্যন্ত জোরালো অভিকর্ষ বলের টান অনেকটাই বাঁকিয়ে সরিয়ে দেয় এই ধরনের গ্রহাণুগুলির কক্ষপথ। তবু ঘাতক গ্রহাণুর মোকাবিলায় নাসার হাতিয়ার এখন ডার্ট পদ্ধতি।
২০২১ সালের জুলাইয়ে নাসা শুরু করবে ডার্ট (ডাবল অ্যাস্টরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট) মিশন। এর মাধ্যমে হাফ টনের একটি মহাকাশযানকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা কোনও গ্রহাণুর উদ্দেশ্যে ছোড়া হবে। মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, দুই বস্তুর সংঘর্ষের ফলে দিক পরিবর্তন করবে গ্রহাণুটি।
২০২২ সালের অক্টোবরে এমনই এক পরীক্ষা করবে নাসা। যেখানে পৃথিবী থেকে ৭০ লাখ মাইল দূরে ডিডিমুন নামক এক গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ হবে নাসার ডার্ট পদ্ধতিতে পাঠানো এক মহাকাশযানের। একটি বড় ফ্রিজের মতো দেখতে মহাকাশযানটি বানিয়েছে জোনস হপকিন্স অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি।
পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা না থাকলেও, ডিডিমুন গ্রহাণুকেও ‘বিপজ্জনক’ আখ্যা দিচ্ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, আছড়ে পড়লে একটা গোটা শহর ধ্বংস করতে সক্ষম এই গ্রহাণু। ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৭০০ মাইল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে এই ডিডিমুন। আরও জানা গেছে, সংঘর্ষের আগে মহাকাশযান থেকে বেরিয়ে আসবে জুতোর বাক্সের সাইজের একটি ক্যামেরা। ইটালিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থার নির্মিত এই ক্যামেরা, দুই বস্তুর সংঘর্ষ রেকর্ড করে তথ্য জোগাড় করবে। সূত্র: দ্য টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।