Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের রাজ্য সভাতেও পাশ বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ভারতের লোকসভার পর গতকাল রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি)। ভোটাভুটিতে ১২৫টি ভোট পড়েছে বিলের পক্ষে। বিপক্ষে ভোট ১০৫টি। এ বার প্রেসিডেন্ট সই করলেই এই বিল আইনে পরিণত হবে।

মূল এই ভোটাভুটির আগে বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। মোট ১৪টি সংশোধনীর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিভিন্ন দলের সাংসদরা। কিন্তু ভোটাভুটিতে সবকটিই খারিজ হয়ে গিয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে রাজ্যসভায় জোর বিতর্ক হয়। সোমবার লোকসভায় পাশ হওয়ার পর গতকালই রাজ্যসভায় পেশ হয় এই বিল। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয় শাসক ও বিরোধী পক্ষের সাংসদের মধ্যে।

এ দিন রাজ্যসভায় আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে অমিত শাহ দাবি করেন, ‘লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে ধর্মীয় প্রতারণা হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে সেই সব শরণার্থীদের অধিকার দেয়া হবে।’ এ দেশে বসবাসকারী মুসলিমদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সন্ধ্যার দিকে জবাবি বক্তৃতায় অমিত শাহ বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশে এই বিল আনা হয়নি। আগের সরকার বিষয়টির যথাযথ মোকাবিলা করতে পারেনি। বিরোধী কংগ্রেসের পক্ষে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে আনন্দ শর্মা বলেন, ‘এই বিল ভারতের আত্মার উপরে আঘাত।’ বিল নিয়ে বিজেপি কেন তাড়াহুড়ো করছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দেশ ভাগের জন্য কংগ্রেস দায়ী বলে অমিত শাহ লোকসভায় যে অভিযোগ করেছিলেন তারও জবাব দিয়েছেন আনন্দ শর্মা। দেশ ভাগ নিয়ে সরাসরি হিন্দু মহাসভা এবং মুসলিম লিগকে দায়ী করেছেন তিনি। অমিত শাহের কথার সূত্র ধরেই বিজেপিকে তোপ দেগেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। নোটবন্দির কথা তুলে দলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘আপনারা আশ্বাস দিলেও, সিএবি নিয়ে আশঙ্কার কারণ আছে। কারণ, নোটবন্দির সময়েও প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ফল কী হয়েছে তা সবাই জানেন।’

মঙ্গলবার সকালেই তার টুইটে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। লিখেছেন, ‘এই বিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে জাতিগত ভাবে বিশুদ্ধ করার চেষ্টা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উপর অপরাধমূলক আক্রমণ। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের পাশেই রয়েছি।’ সূত্র: এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ