পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রমজানের সকল ইবাদত-বন্দেগী নিজ ঘরেই করুন। সম্ভব হলে বাড়িতেই হাফেজ রেখে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে খতম তারাবিহ আদায় করুন। ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই ও বোনদের প্রতি এমন আহবান জানিয়ে দেশের মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন ও মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী এক বিবৃতি প্রদান করেন। নেতৃদ্বয় বলেন, রমজান মাসে খতম তারাবিহ, কিয়ামুল লাইল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, দরুদ পাঠসহ রাত জেগে ইবাদতের ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম। বিগত বছরসমূহে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলামন ভাই ও বোনেরা রমজান মাসে মসজিদের গিয়ে রাতভর ইবাদত করতেন। যা এ বছর করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তাই নিজ ঘরেই ইবাদাতের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মহামারী ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে আমাদের সকলেরই উচিৎ বেশিবেশি আল্লাহকে স্মরণ করা ও তাঁর ইবাদাত করা। পবিত্র রমজান মাস আমাদের জন্য এমনই একটি সুযোগ। যে মাসে ইবাদাত বন্দেগী ও তাওবার মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা পেয়ে চলমান বিপর্যয় থেকে মুক্তি পেতে পারি।
জমিয়াত নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দেশের হাজার হাজার কুরআনে হাফেজ পবিত্র রমজানে তারাবিহ নামাজ পড়িয়ে যে সম্মানী পেতেন তা দিয়ে বছরের অন্যান্য মাসসমূহে খরচ করতেন। তাদের বাৎসরিক উপার্জনের সিংহভাগই রমজান মাস কেন্দ্রিক। যেহেতু এবছর দেশের কোন মসজিদেই তারাবিহ নামাজ হবে না সেহেতু ঐ সকল হাফেজ সাহেবদের সংসার পরিচালনায় অনেকটা বেগ পেতে হবে। মানবিক দিক বিবেচনায় কুরআনে হাফেজদের জন্য আর্থিক প্রনোদনা ঘোষণা করা অতিব জরুরি বলে আমরা মনে করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।