Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম

ধরিত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ হই

সৌরজগতের আটটি গ্রহের ভিড়ে পঞ্চম গ্রহটি হচ্ছে আমাদের পৃথিবী। এখন পর্যন্ত যে গ্রহে কোটি কোটি প্রাণের সঞ্চার হয়েছে সেটিই আমাদের ধরিত্রী। পরম স্নেহে মা যেভাবে সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন, পৃথিবীও সেভাবে কোটি কোটি প্রাণী ও উদ্ভিদ সবাইকে আগলে রেখেছে। একটি ক্ষুদ্র অণুজীবকেও সে তার মমতা থেকে বঞ্চিত করেনি। কিন্তু তার বিনিময়ে আমরা কী দিচ্ছি পৃথিবীকে? মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু আমরা দিনে দিনে আমাদের এ ধরিত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা আমাদের যান্ত্রিক জীবনে এতটাই উন্নতি লাভ করেছি যে আমরা ভুলেই গিয়েছি এ পৃথিবীর সকল উপাদান থেকে শুরু করে সামান্য ক্ষুদ্র অণুজীবের উপরও আমরা কোন না কোনভাবে নির্ভরশীল। আমরা সবুজ বনায়ন ধ্বংস করছি। আমরা বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ছাড়ি এবং উদ্ভিদ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি, কিন্তু নগরায়ন এবং উন্নত জীবনযাপনের জন্য আমরা অবাধে ধ্বংস করছি সবুজ বনভূমি। অথচ আমাদের বনায়ন কমলেও আমাদের নিত্য নতুন আবিষ্কার কিংবা আধুনিক জীবন-যাপনের ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড-সহ বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে। নির্দিষ্ট অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে হলে সেখানে ৩০% বনভূমি থাকা আবশ্যক। কিন্তু পৃথিবী এতটাই বিষাক্ত হয়ে গিয়েছে যে, কয়েক শত বছর পর বনাঞ্চল খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই বন্যপ্রাণীদের উপর এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে প্রাণী ও প্রাণীবৈচিত্র্য। বনায়ন কমার ফলে যেভাবে প্রাণীদের উপর প্রভাব পড়ছে সেভাবেই প্রভাব পড়ছে তাপমাত্রায়। পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে এবং বরফ গলতে শুরু করেছে। এ পৃথিবী আমাদের, এ পৃথিবীর আলো বাতাস সবকিছুই আমাদের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে, তাই পৃথিবীর প্রতি একটু কৃতজ্ঞ হই এবং নিজেদেরকেও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখি।
মাইশা শওকত
সঙ্গীত বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন