Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইয়াসির, ওকসের রেকর্ডে লর্ডস রোমাঞ্চ

প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : যার খেলার সম্ভাবনাই ছিলো না, তিনিই বনে গেলেন হিরো। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে নিষিদ্ধ ছিলেন ৩ মাস। অ্যাবোটাবাদে দলের বুট ক্যাম্পে বাধালেন চোট। হাঁটুর সেই চোটে ইংল্যান্ড সফরই ছিল শঙ্কায়। সব কিছু পেছনে ফেলে ঠিকই মাঠে ফিরলেন ইয়াসির শাহ। এশিয়ার বাইরে নিজের প্রথম টেস্টেই ছড়ালেন আলো। ৫ উইকেট নিয়ে ইয়াসির নাম লেখালেন লর্ডসের বিখ্যাত অনার্স বোর্ডে। দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়ের হতাশা ছাপিয়ে পাকিস্তান দিনটা নিজেদের করে নিল বোলিংয়ে।
পাকিস্তানের তিন বাঁহাতি পেসারকে ভালোই সামলেছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। তবে তাদের জানা ছিল না ইয়াসিরের লেগ স্পিনের জবাব। ত্রয়োদশ টেস্টেই পেলেন পঞ্চম ৫ উইকেটের স্বাদ। চারটি উইকেটই এলবিডবিøউ। এর দুটিতে রিভিউ নিয়ে রক্ষা হয়নি ব্যাটসম্যানের। লর্ডসে সবশেষ কোনো লেগ স্পিনার ৫ উইকেট পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। ইয়াসিরের পূর্বসূরি মুশতাক আহমেদ। প্রথম ইনিংসে লেগ স্পিনারে সবশেষ ৫ উইকেট ছিল সেই ১৯৭৬ সালে! পেয়েছিলেন ভারতীয় কিংবদন্তি ভগবৎ চন্দ্রশেখর। এতা গেল এক হিরোর গল্প। এই এক ম্যাচে গল্প আছে আরেক নায়কেরও। তবে তার নামটি হয়ত লেখা থাকবে ইতিহাসের ট্র্যাজিক হিরোদের তালিকায়- ক্রিস ওকস।
লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিন থেকেই চলছিলো তার গতির ঝড়। যার সামনে তাসের ঘরের মত গুঁড়িয়ে যাচ্ছিলো পাকিস্তান ব্যাটিং প্রতিরোধ। টিকতে পারেনি প্রথম ঘণ্টাও। ক্রিস ওকস ও স্টুয়ার্ট ব্রড টানা বোলিং করে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন শেষ ৪ উইকেট। এরই মাঝে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়ে ওকস থেমেছেন ৬ উইকেটে। শেষ দুটি উইকেট নিয়েছেন ব্রড। আজহারকে যখন ফেরালেন, নামের পাশে তখন লেখা হয়ে গেছে ৪০০তম প্রথম শ্রেণীর উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে আরো উজ্জ্বল তার দ্যুতি। আরো ৩টি উইকেট নিয়ে প্রথমবারের মত এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্বও গড়ে ফেলেন এই উইকেটকিপার অলরাউন্ডার। শেষ ৫০ বছরে লর্ডসে এই নিয়ে মাত্র ৩ জনের আছে এমন কীর্তি। ১৯৭৮ সালে বোথাম, ২০১২ সালে ব্রডের পর ওকসের নামটি পেলো ক্রিকেট বিশ্ব। পরে ওহাবকে রিয়াজকেও (০) ফেরান ওকস (১১)। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও ইংলিশদের ভোগালেন ইয়াসির শাহ। সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে তার শেষ বিকেলের জুটিতে লিড অনেকটা বাড়িয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস। তবু শেষ ইনিংসে ইংল্যান্ডের অপেক্ষায় কঠিন লক্ষ্য। লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের রান ৮ উইকেটে ২১৪। প্রথম ইনিংসে ৬৭ রানের লিড মিলিয়ে সফরকারী দল এগিয়ে ২৮১ রানে। লর্ডসে এর চেয়ে বড় রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে দু’টিই। ১৯৮৪ সালে গর্ডন গ্রিনিজের অসাধারণ ডাবল সেঞ্চুরিতে ৩৪২ রান তাড়ায় ৯ উইকেটে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ২০০৪ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিলো ইংল্যান্ড। সেবার প্রথম ইনিংসে ৩০০ করে লর্ডসে শেষ হেরেছিলো কিউইরা। আর ৬৭টি টেস্ট হওয়া ক্রিকেটের মক্কায় তিনশোর্ধ ইনিংস করে হেরেছে মাত্র তিনটি দল। এমন পরিসংখ্যানের কল্যাণে এখন থেকেই ইংল্যান্ড জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে পাকিস্তান। রিপোর্টটি ৬ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১৮৬ (৬৬ ওভার)। বেয়ারস্টো ৪৮ ও ওকস ব্যাট করছিলেন ১৫ রানে। এদিনও ২টি শিকার ইয়াসিরের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াসির

৩০ নভেম্বর, ২০২১
২৭ নভেম্বর, ২০১৮
১৭ অক্টোবর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ