নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
পাকিস্তানের ৪১৮ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড উদ্বোধনী জুটিটা ভালোই ছিল। জিত রাভাল-টম লাথাম তুলে ফেলেন ৫০ রান। তার চেয়ে বড় কথা ২১ ওভার কাটিয়ে দেয় তারা। কিন্তু তখনও যে বোলিংয়ে আসেনি ইয়াসির শাহ। ডানহাতি লেগ স্পিনার বল হাতে নেয়ার পর ৪০ রানের মধ্যে গুটিয়ে ৯০ রানে অল আউট নিউজিল্যান্ড। শেষ আটজনের ছয়জনই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। টেস্ট ইতিহাসে যে ঘটনা এই প্রথম। ৪ থেকে ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানের মিলিত রান ৫। ২৮ রানে অপরাজিত থেকে যান ওয়ান ডাউনে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৪১ রানে ৮ উইকেট নেন ইয়াসির।
দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ফলো অনে পড়ে ব্যাটে নেমে দুই উইকেটে তারা ১৩১ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে। এ দুটিও গেছে ইয়াসিরের দখলে। ১৯৯৯ সালে অনিল কুম্বলের পর এই প্রথম কোন বোলার এক দিনে নিলেন দশ উইকেট। ইনিংস হার এড়াতে এখনো নিউজিল্যান্ডকে করতে হবে ১৯৭ রান। অবিচ্ছিন্ন ৬৫ রানের জুটিতে ৪৪ রানে ব্যাটে আছেন লাথাম, ৪৯ রানে রস টেলর।
পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট ইনিংসে ইয়াসিরের চেয়ে ভালো বোলিং পরিসংখ্যান আছে আর মাত্র দুজনের, আবদুল কাদির (৯-৫৬, প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড) আর সরফরাজ নওয়াজের (৯-৮৬, প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া)। মাত্র ২১ বলের মধ্যে ইয়াসির কাল ফিরিয়েছেন ছয়-ছয়জন কিউই ব্যাটসম্যানকে! সংযুক্ত আরব আমিরাতেও এটি সেরা বোলিং ফিগার। দুই বছর আগে ৪৯ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন উইন্ডিজ লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু।
ওপেনিং জুটিতে ন্যূনতম ৫০ রান করার পরও সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার নজির গড়ল নিউজিল্যান্ড। এর আগের কীর্তিটাও ছিল নিউজিল্যান্ডের। কাকতালীয়ভাবে সেবারও তাদের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। ২০০১ সালে অকল্যান্ডে উদ্বোধনী জুটিতে ৯১ রান তোলার পরেও ১৩১ রানে অলআউট হয়েছিল কিউইরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।