বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নে শাহ আলম (৫৭) নামের এক প্রবাসীকে প্রকাশ্য দিবালোকে তার শ^শুর বাড়ী থেকে একদল অস্ত্রধারী অপহরণ করে। সন্ত্রাসীরা শাহ আলমের বসত ঘরে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপন নিয়ে অপহৃত ছাড়া পান। আজ মঙ্গলবার বেগমগঞ্জ থানায় এব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার অভিযোগ করেন যে, রোববার সকালে শাহ আলম ও তার স্ত্রী তার শশুর বাড়ীতে যান। সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় ইসমাইল ও জাহেরের নেতৃত্বে ১২/১৩ জনের একদল সশস্ত্র যুবক শাহ আলমের শশুর বাড়ীতে হানা দেয়। তারা বাড়ীর লোকজনকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে সাহ আলমকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় শাহ আলমের স্ত্রী পেয়ারা বেগম অপহরনকারীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে, সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম প্রহার করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। ওই সময় অস্ত্রধরীরা পেয়ারা বেগমকে বলেন যে, শাহ আলমকে জীবিত পেতে হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য অজি উল্যা ও শিশু রাসেলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। অপহরনকারীরা শাহ আলমকে বেদম প্রহার করে পুরো শরীর থেতলে দেয়। ওই দিন দুপুরে শাহ আলমের পরিবারের নিকট অপহরনকারীরা এক লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। বিকেলে তার পরিবার অজি উল্যা মেম্বারের নিকট মুক্তিপনের ২০ হাজার টাকা দেওয়ার পর তারা সাহ আলমকে ছেড়ে দেয়।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থের পরিবার অভিযোগ করেন, ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর একই কায়দায় শাহ আলমকে স্থানীয় অজি উল্যা মেম্বারের নির্দেশে শিশু রাসেল গং অপহরন করে। ওই সময় অপহরনকারীরা ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। পরবর্তীতে শাহ আলমের পরিবার অজি উল্যা মেম্বারকে ৫০ হাজার দিয়ে অপহৃতকে মুক্ত করেন।
এ ঘটনায় শাহ আলম বেগমগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত করেন। পুলিশ তদন্ত করে ফেরার পর অস্ত্রধারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শাহ আলমের বসত ঘরে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ পক্ষদ্বয়কে থানায় ডেকে পাঠান। এসময় বেগমগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ হারুন-অর রশিদ চৌধুরী অজি উল্যা মেম্বারকে শাসিয়ে দেন এবং পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনার পূনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে নির্দেশনা দেন।
এ ঘটনায় অজি উল্যা মেম্বারের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে শিশু রাসেলের ভাই রিফাত, ইসমাইল সহ কয়েকজন শাহ আলমকে তুলে নেওয়ার পর, খবর পেয়ে তিনি সাহ আলমকে উদ্ধার করেন। এবং গেল ডিসেম্বরে ও শাহ আলমকে তিনি উদ্ধার করেন। অজি উল্যা আরো দাবি করেন যে, তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা।
এ নিয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ হারুন-অর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় শাহ আলম বাদী হয়ে থানায় অপহরণ ও ঘর ভাংচুরের মামলা করেছে। শাহ আলমকে অপহরনের ঘটনায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য অজি উল্যাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, এবং মামলার আসামীদের গ্রেফতারে সহযোগীতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।