পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
করোনা মোকাবেলায় সঙ্গী হোক বই
মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবে থমকে আছে বিশ্ব। বাংলাদেশেও একই অবস্থা। চলছে সাধারণ ছুটি। মানুষ গৃহবন্দী। খুব প্রয়োজন ছাড়া বের হতে বারণ। এই অবস্থায় নতুন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে কাটছে দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন। তাদের প্রতিদিনের গল্পগুলো প্রায় অভিন্ন। সবার মাঝে যেন আলসেমির অবসর। ঘুমের দেশে পাড়ি জমানো এখন একটা নিয়মিত অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ। ইবাদত বন্দেগী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার ও টিভি দেখে সময় কাটছে অনেকের। তবে প্রথম কিছুদিন ভালো লাগলেও এখন অনেকটা একঘেয়েমি চলে এসেছে প্রায় সবার মাঝে। অনেকেই নিয়মিত জীবনে কখন ফিরতে পারবে সেজন্য ছটফট করছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এভাবেই থাকতে হবে। কিন্তু এভাবে কত সময় কাটানো যায়! এই জন্যই দরকার সৃষ্টিশীল বিনোদন, সঙ্গরোধের সঙ্গী ‘বই’। যার সময় যেভাবেই কাটুক, অবসর যাপনের ক্ষেত্রে বই পড়ার চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোনো কাজ এখনো দৃষ্টিগোচর হয়নি। বই পড়া শুধু সময় পার করার উপলক্ষই নয়, এতে আনুষঙ্গিক আরো দিকের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। বই মানুষের সার্বক্ষণিক এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সঙ্গী। বই যেমনি সুস্থ চিন্তার প্রতীক। তেমনি বই অন্ধকারে আলোর প্রদ্বীপ। সত্যিই বই সুন্দর ও শুভ চিন্তা ভাবনার কথা বলে। মনের স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে। মনকে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে। সেই আলোয় আমরা ভালো-মন্দ বিচার করতে পারি। স্বার্থপরতা ও মন্দ চিন্তাকে দূর করে ভালো মানুষ হয়ে উঠি। বই সত্য, সুন্দর ও আনন্দময় অনুভূতিতে পাঠক চিত্তকে ভরিয়ে তোলে। বই আমাদের মনে আশা জাগায়, স্বপ্ন দেখায় এবং জীবনের সঠিক পথের নির্দেশনা দেয়। বই রাখতে পারে সুস্থ এবং সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা। তাই আমাদের প্রেরণা ও অঙ্গীকার হতে পারে, সঙ্গরোধের সঙ্গী হোক ‘বই’। সেটাই হবে আজকের দিনের প্রত্যাশা।
মো. রাশিদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল, কুষ্টিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।