পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
চিকিৎসা ব্যবস্থায় স্বনির্ভরতা অর্জন জরুরি
বর্তমানে পুরো বিশ্ব করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রায় সকল রাষ্ট্র লকডাউন করে রাখা হয়েছে। বৈদেশিক সকল যানযোগাযোগ প্রায় বন্ধ। প্রত্যেক রাষ্ট্র নিজেদের সমস্যার সমাধান করতেই হিমসিম খাচ্ছে, কেননা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে। তাহলে আমাদের দেশের যেসকল মানুষ যেকোন রোগের চিকিৎসার জন্যেই দেশের বাইরে যেত তারা এখন কোথায় যাবে তাদের চিকিৎসা সেবা নিতে? তাছাড়া করোনাভাইরাস সনাক্তকরণ কীট এবং আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিই বা কীভাবে যোগাড় করা হবে? তাই পরনির্ভরতা নয়, আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় স্বনির্ভরতা আনয়ন প্রয়োজন। আমাদের দেশেও বিশ্বমানের উদ্ভাবক, চিকিৎসক ও হাসপাতাল রয়েছে। যাদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রাংশ প্রদানের মাধ্যমে আমাদের দেশকেও আমরা গড়তে পারি চিকিৎসা ব্যবস্থার রোল মডেল হিসেবে, যেখানে অন্যদেশ থেকে মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসবে। সুতরাং, আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত, আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করা জরুরি। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ দায়িত্বপ্রাপ্তদের দৃষ্টি আর্কষণ করে, তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আবু তালহা আকাশ
শিক্ষার্থী, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
পথশিশুদের দেখবে কে?
করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে বাংলাদেশে। ঘটছে করোনায় মৃত্যু, বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা। যেহেতু প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটির কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি, তাই সবার সচেতনতাই এর রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে। ভাইরাসটির বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা। সবাইকে করোনার ঝুঁকি থেকে নিরাপদ রাখতে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। কিন্তু তখনো আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের একটি বিরাট অংশ অন্ধকার তিমিরেই রয়ে যাচ্ছে। যাদের সুবিধা বঞ্চিত আর্তনাদ আমাদের সকল অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। এরা হচ্ছে আমাদের সমাজের পথশিশু। এরা নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে আপনা থেকেই নিয়ম তৈরি করে নেয়। যেহেতু এদের দেখভাল করার কেউ নেই, তাই তারা স্বভাবতই সঠিক পথের আলো থেকে অনেক দূরেই রয়ে যায়। প্রয়োজনীয় সচেতনতা, বিচারবুদ্ধি ও দিক নির্দেশনার অভাবে প্রায়শই নিজেদেরকে ভুল পথে পরিচালিত করে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরির পাশাপাশি সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদের মাঝে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের ছোট ছোট মানবিক উদ্যোগগুলোই বদলে দিতে পারে এই সমাজ, এই দেশ।
রাশিদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।