Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

 

করোনায় বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান
করোনাভাইরাসের বা (কোভিড-১৯)-এর কাছে পুরো পৃথিবীই আজ বিপর্যস্ত। পৃথিবীর প্রায় দু’শ দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ভয় এবং আতঙ্ক সবাইকে গ্রাস করেছে। উন্নত-অনুন্নত বলে কথা নেই, সব দেশের বড় বড় শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা। খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করতেছে। যে মানুষগুলো দিন এনে দিন খায় তাদের কষ্ট যেন দেখার কেউ নেই। অথচ পৃথিবীতে ছয় কোটি মানুষ উদ্বাস্তু আর একশত কোটি মানুষ দরিদ্র। আসুন, আমরা তাদের পাশে দাঁড়াই। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারি তাদের চলার মতো ন্যূনতম অনুদান।
ইমাম হোসেন
মীরসরাই, চট্টগ্রাম।


টিভির মাধ্যমের পাঠদানের সুবিধাবঞ্চিত মফস্বলের শিক্ষার্থীরা
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে সাধারণ ছুটি চলছে। গত ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং সেটার মেয়াদ ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে ছুটির সময় আরও লম্বা হতে পারে। তাছাড়া এমনিতেও বছরের শুরুতে প্রকাশিত ছুটির তালিকায় এপ্রিলের ২৫ তারিখ থেকে টানা ১ মাসের বেশি সময় পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ইত্যাদি উপলক্ষে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা। সব মিলিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কয়েক কোটি শিক্ষার্থীর পড়ালেখার ঘাটতি পূরণে ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সাথে সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরদ্বয় সংসদ টেলিভিশনে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন বিযয়ের উপর শ্রেণি পাঠদান প্রচারের সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করে। নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের অনিশ্চয়তা, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সচেতনতা, ক্লাসের সময়ের সীমাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীর তাৎক্ষণিক প্রশ্ন করার সুযোগ না থাকা ও প্রদত্ত পাঠের শিখনফল যাচাই ইত্যাদি সীমাবদ্ধতার পরেও বিষয়টি শুরুতেই শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটির কারণে সিংহভাগ শিক্ষার্থী যারা গ্রাম বা মফস্বল এলাকায় বসবাস করে এবং যাদের বাসায় ক্যাবল সংযোগের সুবিধা নেই তারা গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী এই সুযোগ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে, অত্যন্ত চমৎকার উদ্যোগটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন স্বভাবতই কঠিন হবে। তাই ক্লাসগুলো সংসদ টেলিভিশনের পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)- তে প্রচার করার ব্যবস্থা করা গেলে গ্রাম ও মফস্বল এলাকার শিক্ষার্থীরাও উক্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসগুলো প্রত্যক্ষ করার মাধ্যমে নিশ্চিতভাবেই উপকৃত হতে পারতো বলে মনেকরি। উপর্যুক্ত বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু সদয় দৃষ্টি প্রত্যাশিত।
আবু ফারুক
সহকারী শিক্ষক, ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বান্দরবান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন