Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রকৃত নায়কদের প্রতি কৃতজ্ঞ মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে স্থবিরতা নেমে এসেছে সবখানে। বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে ঝুলছে তালা। রাস্তাঘাটে নেই যানবাহন। কিন্তু সব বন্ধের মাঝেও একটি জায়গায় বেড়ে চলেছে কর্মব্যস্ততা; সেটা হাসপাতাল। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ডাক্তার-নার্সদের দায়িত্বও বেড়ে চলেছে।

কঠিন এই সময়ে সেবা দিয়ে যাওয়ায় ডাক্তার-নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মাশরাফি মুর্তজা। ঘরে শুয়ে-বসে সময় কাটানো বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মনে করেন, মহৎ এই কাজের জন্য ডাক্তার-নার্সদের পুরস্কৃত করা উচিত। অন্যদিকে চিকিৎসক ও নার্সসহ সর্বস্তরের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা। পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে থাকার। পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সাংবাদিকরাও। সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ খবর। বাস্তব জীবনের পাঁচ শ্রেণির এই বীর সন্তানদের প্রতি ফেসবুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এই শ্রেনীর মানুষদের তুলনা করেছেন প্রকৃত নায়কদের সাথে।

নিজের ভেরিফাইড অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ভিডিও বার্তায় অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমাদের ডাক্তার, নার্সরা এবং যারা চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন, সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। এ দুঃসময়ে করোনার মতো মহামারী ব্যধির সময় তারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, দেশকে সেবা দিচ্ছেন, সে জন্য মন থেকে আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আমি বিশ্বাস করি এ মহৎ কাজের জন্য আপনারা অবশ্যই পুরস্কৃত হবেন।’

পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস সতর্কতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সবার একটাই কথা, এই সময়টা ঘরে থাকার। মাহমুদউল্লাহও সেটা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘ঘরে থাকুন, নিজেকে নিরাপদ রাখুন।’

পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ায় ফিটনেসের দিকেও নজর রাখছেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যায়াম করার পাশাপাশি ঘরের কাজও করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘কয়েকদিন বাসায় বসে আছি। বাসার নিত্যদিনের কাজগুলো করছি। গাছে পানি দিচ্ছি, বই পড়ছি, ব্যায়াম করছি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছি।’

দুঃসময়ের কথা চিন্তা করে বাইরে যাওয়ার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভেতরে হয়তো অবসাদ চলে আসতে পারে। একটু একঘেয়েমি অনুভব হতে পারে। মাথায় আসতে পারে একটু বাসার নিচে যাই। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলি বা বাসার সামনের মোড় থেকে একটু হেঁটে আসি। যদি কারো মাথায় কিংবা মনে এ রকম চিন্তাধারা উঁকি দিয়ে থাকে, সেগুলোও যেন আমরা মাথা থেকে ঝেরে ফেলি। কারণ এ মুহ‚র্তে বাসায় থাকাটাই নিরাপদ। এটা সময়ের দাবি।’
লকডাউন অবস্থার কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এসব খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহŸান জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘যারা শ্রমজীবি মানুষ আছে, তারা হয়তো এ মুহ‚র্তে বেকার হয়ে পড়ছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো জরুরী। আমরা চেষ্টা করব যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার। তাদের সাহায্য করার।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাশরাফি

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ