মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সবকয়টি শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হলো। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় আজ বিকাল ৫টা থেকেই কার্যকরী হবে এই লকডাউন। বহাল থাকবে ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত। সে ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিষেবা বাদ দিয়ে বাকি সব কিছু বন্ধ হচ্ছে রাজ্যের পুর শহরগুলিতে।
গতকলই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতা-সহ ভারতের ৭৫টি জেলা লকডাউনের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্রে। ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছিল, রাজ্য সরকারগুলি চাইলে সেই লকডাউনের এলাকা বাড়াতে পারে। তার পরেই রোববার নবান্ন থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব পুর শহরকে লকডাউন করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।
ভারতে করোনা সংক্রমণের যে হিসাব জানা গেছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গে তথা কলকাতার পরিস্থিতি অন্য কয়েকটি রাজ্যের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ভাল। কিন্তু নাগেরবাজার এলাকার এক প্রৌঢ় সাম্প্রতিক কালে বিদেশযাত্রা না করা সত্তে¡ও যে ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভেন্টিলেশনে, তাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন। প্রশাসন এখনও সে রকম কিছু ঘোষণা করেনি। কিন্তু পরিস্থিতি সে দিকে যাক, এমনটাও প্রশাসন চাইছে না। সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব পুর শহরকে লক ডাউন করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার বিকেল ৫টা থেকে অত্যাবশ্যক এবং আপৎকালীন বিষয় ছাড়া যাবতীয় প্রকাশ্য কার্যকলাপ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে রাজ্যের পুর শহরগুলিতে।
গতকাল সকাল ৭টা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির আহ্বানে ‘জনতা কারফিউ’ চলেছে গোটা ভারতে। রাত ৯টার পর ‘জনতা কারফিউ’র মেয়াদ শেষ হলেও আজ বিকাল থেকে যদি প্রশাসনের নির্দেশে রাজ্যের সব পুর শহরে বাধ্যতামূলক লকডাউন কার্যকরী হচ্ছে। অর্থাৎ রাজ্যের রাজধানী কলকাতা, সবক’টি জেলা সদর, মহকুমা শহর, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ব্লক স্তরের বা তার চেয়ে ছোট শহরও পুরোপুরি বিধিনিষেধের আওতায় চলে আসছে।
লকডাউনের সময়ে পুরোপুরি ঘরে থাকার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যক যে সব সামগ্রী দরকার, তা সংগ্রহ করে নেয়ার জন্য আজ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত অবশ্য সময় পাবেন পুর শহরগুলির বাসিন্দারা। তবে লকডাউনের সময়ে জনতা যাতে বিপদে না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল, চিকিৎসা পরিকাঠামো, ওষুধের দোকান-সহ নানা আপৎকালীন বন্দোবস্ত খোলা রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত ২৭ মার্চ পর্যন্ত এই লকডাউন ঘোষিত হল।
এ বিষয়ে দেয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ট্যাক্সি, অটোরিকশা-সহ সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকবে। হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, বাস স্ট্যান্ড থেকে যাওয়া-আসা, মালবাহী যান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যকে ছাড় দেয়া হচ্ছে। সব দোকান, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, অফিস, কারখানা, কর্মশালা, গোডাউন বন্ধ থাকবে। বিদেশ থেকে ফেরা সবাইকে স্থানী. স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মতো কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না।
যে সব ক্ষেত্রকে ছাড় দেয়া হয়েছে সেগুলো হল, আইনশৃঙ্খলা, আদালত ও সংশোধনাগারের পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী, বিদ্যুৎ ও পানি পরিষেবা, দমকল, সিভিল ডিফেন্স, জরুরি পরিষেবা, টেলিকম, ইন্টারনেট, আইটি ও ডাক বিভাগ, ব্যাংক ও এটিএম, রেশন, মুদি দোকান, সবজি, ফল, মাছ, মাংস, দুধ, পাউরুটি বিক্রি, হিমঘর, মুদির ই-কমার্স, খাবার জিনিস, হোম ডেলিভারি, পেট্রল পাম্প, এলপিজি গ্যাস, তেলের এজেন্সি
ওষুধের দোকান, চশমার দোকান, সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া। নির্দেশিকা না-মানলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।