পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
মানুষের জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম এখন দিন দিন বেড়েই চলছে। ওষুধ বিক্রেতাদের আচরণ দেখলে মনে হয়, তাদের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিক্রেতারা যে যার ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে ওষুধ বিক্রি করছে। এদিকে আবার মানুষের মধ্যে রোগ বেড়েই চলছে। ফরমালিন যুক্ত খাবার, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, অনিয়মিত খাবার গ্রহণ, ধূমপান, মাদকদ্রব্য গ্রহণ-সহ নানান কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত কয়েকদিন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হচ্ছে ওষুধের প্রতিটা পাতায় মূল্য লেখার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা। দাবি হচ্ছে, ঔষধের প্রতিটা পাতায় মূল্য লেখা থাকবে, ঔষধের পাতায় দাম উল্লেখ না থাকার কারণে ঔষধ ব্যবসায়ী এবং ফার্মেসিগুলো অতিরিক্ত দাম নিয়ে মানুষের পকেট কাটছে। কিছু ওষুধের দোকান এ কারণে দÐপ্রাপ্ত হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতারণা চলছে। সাধারণত ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের পাতায় সেগুলোর মূল্য মুদ্রিত থাকে না। ফলে দোকানদারদের মুখের কথার ওপর নির্ভর করেই সেগুলো ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে। প্যাকেটের গায়ে মোট মূল্য লেখা থাকলেও প্রতিবার, প্রতিটি ক্ষেত্রে ওষুধের প্যাকেট দোকানদারের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে মোট মূল্য দেখে সেটাকে ভাগ করে প্রতি পাতার মূল্য বের করে ওষুধ কেনা দুরূহ ব্যাপার। তাছাড়া গ্রামের অর্ধশিক্ষিত, অশিক্ষিত মানুষ এতকিছু ঘেঁটে দেখেও না। এমনকি মফস্বল বা শহরের শিক্ষিতরা এ নিয়ে মাথা ঘামায় না। আর এই সুযোগে ওষুধের মূল্য নিয়ে প্রতারণা করছে এক শ্রেণির বিক্রেতা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ- ওষুধের প্রতি স্ট্রিপ বা পাতায় মূল্য উল্লেখের বিষয়টি আমলে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিন।
শিক্ষার্থী, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।