বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় খাদ্য গুদামে ধান চাউল সংগ্রহের সময়সীমা শেষে খাদ্য গুদামে নিম্ন মানের চাল খালাসের অপেক্ষায় খোলা আকাশের নিচে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সরেজমিন জানা গেছে, এবার ১৯-২০ অর্থ বছরে চলতি আমন মৌসুমে সরকারের ধান, চাউল সংগ্রহ অভিযানের অংশ হিসেবে অত্র উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬ শত ৭৮ মে.টন। এখন পর্যন্ত সংগৃহীত হয়েছে ২ হাজার ৪শত ৭৫ মে.টন চাউল । যদিও সংগ্রহের সময়সীমা ২য় দফা বৃদ্ধি করে গত বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার আগেই এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে এমন আভাস ছিলো খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার। গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে এ সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাল সংগ্রহের পরিমাণ এখনো ২ শত মে. টন কম রয়েছে। সময়সীমা শেষে তড়িঘড়ি করে ৪ ট্রাক ভর্তি চাউল খাদ্য গুদামে অপেক্ষমান রয়েছে । সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও মিল মালিকরা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এর সাথে দফারফা করে চালগুলো গুদামে প্রবেশের পায়তারা করছে। একটি মহল বলছে সময়সীমা শেষে চাউল সংগ্রহের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহের কারন সৃষ্টি করেছে।
গত শনিবার বিকাল আনুমানিক-৩ দিকে স্থানীয় ফিফো অটোরাইস মিলের মালিক শহীদ এর ৪ ট্রাক ভর্তি চাউল তারাকান্দা খাদ্য গুদামে প্রবেশ করে। গত শনিবার থেকে অদ্যবধি ট্রাকগুলো খাদ্য গুদামে চাউল খালাসের অপেক্ষায় এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
সারা দেশব্যাপী ২০১৯-২০২০ মৌসুমে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমন ধান, সিদ্ধ চাউল ও আতপ চাউল সংগ্রহ করার নিমিত্তে সংগ্রহের সময়সীমা ২৮ ফেব্রæয়ারি পরবর্তীতে সময়সীমা বৃদ্ধি করে ৫ মার্চ নিধারণ করা হয়। বৃদ্ধি করা সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও কিছু অসাধু মিল মালিক নিধারিত সময় শেষে ৪ ট্রাক ভর্তি চাউল নিয়ে গত শনিবার বিকাল ৩টা দিকে তারাকান্দা খাদ্য গুদামে খালাসের জন্য অপেক্ষমান থাকায় এনিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে অনেকের।
এসব অভিযোগ স্বীকার করে তারাকান্দা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর চাউলগুলো গুদামে প্রবেশ করেছে। এগুলো গুদামে গ্রহণ করা সম্ভব নয়। আমরা বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও মিল মালিক চাউল বুঝাই ট্রাকগুলো খাদ্য গুদাম থেকে অপসারণের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না। একই বিষয়ে তারাকান্দা ওসি এল এসডি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা মোটামুটি সবাই তারাকান্দা খাদ্যগুদামে নতুন যোগদান করেছি, পূর্বের গৃহিত কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করে চলেছি। মিলারদের সাথে পূর্বেকার দায়িত্বপ্রাপ্তগণ সমন্বয় করেছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৫ই মার্চ এর পরে কোন ধরনের চাল সংগ্রহের সুযোগ নেই। চাল নিম্মমানের কিনা সেটা তো পরের বিষয়। কেউ যদি জোর পুর্বক খাদ্য গুদামে চাল প্রবেশের মাধ্যমে খালাসের চেষ্টা করেন তাতে কোন লাভ হবেনা ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।