পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোর্ট রিপোর্টার : শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহানকে খালাস দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাঈল এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় ক্রিকেটার শাহাদাত ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মামলার অপর পক্ষে বাদী ও ভিকটিম কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
রায় ঘোষণার পর ক্রিকেটার শাহাদাত সাংবাদিকদের বলেন, বিচারকের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে আমরা নির্দোষ। আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। শিগগিরই ক্রিকেটে ফেরার আশা করছি। শাহাদাতের আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হওয়ায় আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আলী আজগর স্বপন বলেন, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট নন। তবে রায় পর্যালোচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, আপিল করব কিনা। এদিকে রায় ঘোষণার পর সাধারণ আইনজীবী জনান, রায়ে শাহাদাত দম্পতি খালাস পেয়েছে, এখন ইচ্ছা করলে তারা (ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ) নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১৭ ধারায় সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। এই ধারায় বলা হইয়াছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্যকোনো ব্যক্তিকে ক্ষতি সাধন করার উদ্দেশ্যে কোনো কারণ না থাকা সত্ত্বেও জানিয়া শুনিয়া হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করে, উক্ত ব্যক্তিকে অনধিক সাত বৎসর সশ্রম কারাদ- এবং অতিরিক্ত অর্থদ- দিতে পারবে আদালত।
মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে ওই দুজনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন জনৈক খন্দকার মোজাম্মেল হক। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ১১ বছরের ওই গৃহকর্মী নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেয়। ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারক এই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এরপরে ৩১ অক্টোবর দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি করে বিচারক রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। এরআগে এই মামলায় জেসমিনকে গত বছর ৩ অক্টোবর মালিবাগে তাঁর বাবার বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৫ অক্টোবর শাহাদাত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকেও কারাগারে পাঠানো হয়। শাহাদাতকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। পরে এই দম্পতি জামিনে মুক্তি পান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।