পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো. ওমর ফারুক, ফেনী থেকে : ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব একরামুল হক একরামকে নির্মমভাবে গুলি করে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম বিকালে জনাকীর্ণ আদালতে রায় ঘোষনা করেন।
এসময় এজাহারভূক্ত ৫৬ আসামীর মধ্যে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আদেল, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ হিল বাকি শিবলু, যুবলীগ নেতা বাপ্পী, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জিহাদ চৌধুরী, আবিদ, হুমায়ুন, আরিফ ও নাতি আরিফসহ ৩৯ আসামীর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া মামলার এজাহার ভূক্ত প্রধান আসামী বিএনপি নেতা ও ফ্যালকন গ্রæপের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনার, পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক জিয়াউল আলম মিষ্টার, টুপি বেলাল, আব্দুর রউপ, সাইদুল কবির পবন, রিপন, ইকবাল হোসেন, শরিফুল জামিল পিয়াস (পলাতক), কালা প্রকাশ কালা মিয়া, ইউনুস ভূইঁয়া শামিম (পলাতক), আলমগীর প্রকাশ আলাউদ্দিন, কাদেও, ফারুক, জাহিদ হোসেন ভূইয়া, মাসুদ ও সাখাওয়াত সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস প্রদান করে। মিনার চৌধুরীর আইনজীবীরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, দলীয় নেতাদের বাঁচাতে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।
বর্তমানে ১৯ আসামী পলাতক রয়েছে। এর আগে নির্মম ও বর্বর হত্যাকান্ডের শিকার ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরামের আলোচিত হত্যাকান্ডের যুক্তিতর্ক ১৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে শেষ হয়। ঐসময় সব আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এর আগে একরাম হত্যা মামলায় ৫৯ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এছাড়া জামিনে থাকা মো. সোহেল ওরফে রুটি সোহেল নামে এক আসামি র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। বর্তমানে ৬ আসামী জামিন নিয়ে এবং ১২ জন একরাম হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকেই পলাতক রয়েছে।
প্রসঙ্গত : ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী শহরের বিলাসী সিনেমা হলে সামনে একাডেমী রোডে প্রকাশ্য দিবালোকে একরামুল হক একরামের গাড়িতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে, গুলি করে পরে গাড়িসহ পুড়িয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উচ্চ আদালত রায়ের ব্যাপারে ২য় দফা মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী এপ্রিলের মধ্যে একরাম হত্যা মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী ১ মাস বাকি থাকতেই ১৩ মার্চ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করে জেলা জজ আদালতের বিচারক আমিনুল হক। নিহত একরামের পরিবার, এলাকাবাসী ও ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রায় ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করে বাকি সকল আসামীদের গ্রেফতার করে সাজা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।