পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পণ্য খালাসে নিয়োজিত ক্লিয়ারিং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট সিএন্ডএফ এর সাথে যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা কর ফাঁকি দিচ্ছে আমদানিকারকরা। আর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কিছু সিএন্ডএফ এজেন্টরা পণ্য খালাসে যেন অনিয়মের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। অনিয়মের মাধ্যেমেই বনে যাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। আর সাধারণ সিএন্ডএফ এজেন্টরা হয়ে পরছেন অসহায়। বিমানবন্দরে পণ্য খালাসে অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, গ্লোবাল ফার্মা ডিস্ট্রিবিউটর লিমিটেড একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ থেকে এ পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তার্জাতিক বিমানবন্দরে ১১ কোটি টাকার বেশি কর ফাঁকি দিয়েছে পণ্য খালাসে। এলসিএ, এলসি, ইনভয়েসের কপি পরিবর্তন, এইচএস কোড পরিবর্তনসহ নানাভাবে অনিয়মে জড়িয়েছে তারা। ব্যাংকে জমা দেয়া আমদানি সংশ্লিষ্ট দলিল যাচাই করে দেখা যায়, স্বজ্ঞানে এ প্রতিষ্ঠান পণ্যমূল্য কম দেখিয়েছে। এসব তথ্য উঠে এসেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের ৯টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপ থেকে আনা বিভিন্ন দামি পণ্যের আমদানির সময় ব্যাংকের সত্যায়িত এলসিএ, এলসি, ইনভয়েসে এবং ফার্স্ট সিডিউল, এক্সপ্লেনেটারি নোট, কাস্টম ট্যারিফ শিডিউলে এইচএস কোড ঠিক থাকলেও পণ্য খালাসে দেখানো হয়েছে কম শুল্কহারের কোড। ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে সরকার।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের প্রতিবেদনে এসেছে মেসার্স দিশারি ট্রেডিং এজেন্সি, ত্রিনা এসোসিয়েট, আশামনি ট্রেডার্স, পারসনস বিডি এই চারটি সিএন্ডএফ এজেন্টের নাম। প্রতিবেদনে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর ৩২ ধারার এসব অপরাধে ১৫৬ ধারায় দণ্ডের সুপারিশ করা হয়েছে। অবশ্য আইন অনুযায়ী বিচার বিশ্লষন করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কাস্টমস হাউসের একাধিক কর্মকর্তা।
আর সাধারণ সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং দুদকে দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এমন অপরাধে যুক্ত হয়েছে এজেন্টদেরই একটি চক্র। অভিযুক্ত আশামনি ট্রেডার্সের ব্যবহার করা ঠিকানা ডিআইটি এভিনিউয়ের লাল ভবনের দশম ফ্লোরে অন্য প্রতিষ্ঠান। পুরো ভবনে এমন প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বের খবর সবার অজানা।
পুরানা পল্টনের ঠিকানা ব্যবহার করা ত্রিনা এসোসিয়েটসের অস্তিত্বও নেই সেখানে। খুজে পাওয়া যায়নি মেসার্স দিশারি ট্রেডিং এজেন্সি, পারসনস বিডির ঠিকানাও। এমনকি মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে একেকজন জানালেন একেক তথ্য।
ত্রিনা এসোসিয়েটসের ব্যবহার করা নাম্বারে কল করলে তারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তার অবস্থান যশোরের শার্শায়। তার লাইসেন্সে ব্যবসা করে শাহজাহান। দুদকে দায়ের করা অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, তার রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। যার অস্তিত্বও মেলে অনুসন্ধানে।
এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করেন শাহজাহান। তিনি জানান, তার সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন অভিযোগ করছেন অনেকে। নিকট আত্মীয় একজন তার শত শত কোটি টাকা লোপাট করে এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্য তথ্য তুলে ধরার অনুরোধও জানান তিনি। এদিকে পণ্য খালাসে স্বচ্ছতা আনতে এবং সরকারের রাজস্ব বাড়াতে সব ধরনের অনিয়ম দূর করার দাবি জানান সাধারণ সিএন্ডএফ এজেন্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।