নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অধিনায়কদের ‘অধিনায়ক’ হতে পারেন সেই ক্ষণজন্মা মানুষ, যার তুলনা কেবল তিনি। মাশরাফি বিন মুর্তজার মনের ভেতরে কিছু না কিছু আক্ষেপ থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে অনেক অগ্রজের প্রশংসিত শব্দমালার সঙ্গে কুর্নিশও পাচ্ছেন মাশরাফি। বাংলাদেশের ইতিহাসের পেছনের অধিনায়করা এই একটি জায়গায় পুরো একমত। মাশরাফি অধিনায়কদেরও অধিনায়ক
খালেদ মাহমুদ সুজন
সন্দেহাতীতভাবে সে বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক। ওর রেকর্ডই এটা বলে। আর একটা কথা আছে অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, সেই নেতৃত্ব মাশরাফি দিয়েছে। দলকে একাত্ম করে রাখা, সবকিছু ঠিক করে রাখা, ওর মধ্যে এটা খুব করে ছিল। আমার মনে হয় মাশরাফি দারুণ একটা অনুপ্রেরণা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য। এত ইনজুরি থাকা সত্তে¡ও যেভাবে ও খেলেছে, দলের প্রয়োজনে চেষ্টা করেছে শতভাগ দিয়ে। সব মিলিয়ে অসাধারণ একজন অধিনায়ক মাশরাফি। এক কথায় বলতেই হবে যে, বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি।
হাবিবুল বাশার
বাংলাদেশের হয়ে খেলাটাই তো বড় সম্মানের ব্যাপার। অধিনায়কত্ব তো অবশ্যই বড় সম্মান। সবচেয়ে বড় সম্মান যদি বলেন সে রকম। অনেক দিন থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ কাজ না। কষ্ট বলব না। সবাই তো চায় দলকে নেতৃত্ব দিতে। মাশরাফি দলের হয়ে সেরাটা দিয়েছে। দলটাকে বদলে দিয়েছে। অধিনায়ক মাশরাফি আমার দেখা অন্যতম সেরা অধিনায়ক।
নাঈমুর রহমান দুর্জয়
ওর পারফরম্যান্সই ওর হয়ে কথা বলে। ভালো নেতা হিসেবে সে সব সময় নেতৃত্ব দিয়েছে। ওর অনেক ইনজুরি সমস্যা ছিল, তারপরও ও বারবার ফিরে এসেছে। নেতৃত্বগুণ সবার মধ্যে থাকে না। ওর মধ্যে এটা অনেক বেশি ছিল। এর পাশাপাশি সে অত্যন্ত ভালো মনের মানুষও। অধিনায়কের যে ম‚ল কাজটা, অন্যদের কাছ থেকে সেরা পারফরম্যান্সটা বের করে নেওয়া, সেই ব্যাপারে সে সফল।
খালেদ মাসুদ পাইলট
অসাধারণ একজন খেলোয়াড় সে। ১৮ বছর বাংলাদেশকে সার্ভিস দেওয়া কম ব্যাপার না। যদিও মাঝে ইনজুরি ছিল অনেক। কিন্তু যোদ্ধা হিসেবে সে অসাধারণ। ১৮ বছর খুব সামনে থেকেই সে ক্রিকেট খেলেছে। দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরির কারণে অনেক ম্যাচ মিস হয়েছে তার। খুব ভালো লিডারকে মিস করব আমরা। একজন খেলোয়াড় যতক্ষণ পর্যন্ত উপভোগ করবে, ততক্ষণ খেলবে। সিদ্ধান্তটা তার।
ফারুক আহমেদ
আমার মনেহয় মাশরাফি বাংলাদেশকে ভিন্ন একটা উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এটা সবাইকে স্বীকার করতে হবে। আমরা একটা পর্যায়ে খেলেছি। আমি প্রধান নির্বাচক ছিলাম তখন আমরা ম্যাচ জিতেছি, ২০০৭ সালে আমরা ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছি, ওখানে হাবিবুল বাশার অধিনায়ক ছিল। তবে বাংলাদেশ দল যে বিশ্ব ক্রিকেটে ওয়ানডেতে শক্তিশালী একটা দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এর পেছনে মাশরাফির অবদান অনস্বীকার্য। মাঠ এবং মাঠের বাইরে সে দলটাকে অত্যন্ত চমৎকারভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
মোহাম্মদ আশরাফুল
অধিনায়ক হিসেবে তো সে অসাধারণ করেছে। আমার পরই ও অধিনায়কত্ব পেয়েছিল ২০০৯ সালে। কিন্তু ইনজুরির কারণে লম্বা সময় অধিনায়কত্ব করতে পারেনি। আবার পেয়ে আবার ইনজুরি হয়েছে। ও সব সময়ই টিম ম্যান হিসেবে ছিল এক নম্বর। আমি আর ও রুমমেট ছিলাম। বন্ধু ছিলাম, এক সাথে থাকতাম। কিন্তু ও যে এত বড় অধিনায়ক হবে, এটা আসলে আমি চিন্তা করিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।