মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে মুসলমানদের উপর চালানো সহিংসতার বিষয়ে বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘ভারত ভাগ হয়ে যাচ্ছে, আর এতে কারোর কোনও লাভ হবে না।’ গতকাল ইতালি থেকে ফিরেই সহিংসা বিধ্বস্ত উত্তর-পূর্ব দিল্লি পরিদর্শনে যান রাহুল। তার সঙ্গে ছিলেন অধীর চৌধুরী, রণদীপ সরজেওয়ালা, কুমারী শৈলজা সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা।
কংগ্রেসের দুটি দল গতকাল উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। এক দলের নেতৃত্বে ছিলেন রাহুল গান্ধী। সেখানে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তান্ডবে পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি, ভাঙচুর ও লুটতরাজের চিহ্ন ও আশ্রয়হীন সংখ্যালঘুদের দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেন তিনি। এদিন ব্রিজিপুরি এলাকায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বিদ্যালয়ও ঘুরে দেখেন রাহুল গান্ধী। এর পরে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘ঘৃণা ও হিংসা সব ধ্বংস করে দিয়েছে আমাদের। স্কুলে কোমলমতিরাও নিরাপদ নয় ভারতে। আমাদের ভবিষ্যৎকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এখানে।’ এ প্রসঙ্গে সোনিয়া পুত্র আরও বলেন, ‘ভারত ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এতে কারও লাভ হচ্ছে না। কেবল ভারতেরই ক্ষতি হবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি’র কট্টর হিন্দুত্ববাদ ও ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের বিরুদ্ধে সবসময়ই কড়া অবস্থান নিয়ে এসেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এর আগে, দিল্লিতে সহিংসতার ঘটনায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গণতন্ত্রের প্রতীক, কিন্তু হিংসা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।’ এদিকে, দিল্লির সহিংসতা নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে সোচ্চার কংগ্রেস। এ নিয়ে সংসদে সরবও হয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত নাগরিক্ত আইনের (সিএএ) বিরোধিতায় ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তর-পূর্ব দিল্লি। সেখানে বিজেপি সমর্থক হিন্দুত্ববাদীদের হামলায় প্রায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ২০০ জন। বিজেপি নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্যের কারণেই সহিংসতা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিসের নিষ্ক্রিয়তার জন্য মৃত্যুর সংখ্যা এত বেড়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। উস্কানি মূলক মন্তব্যের জন্য চার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। তারপরের দিনই বদলি করে দেয়া হয় নির্দেশ দানকারী বিচারপতি মুরলীধরকে। এ বিষয় নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।