Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিল্লির দাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্থ মুসলিমদের সহায়তায় এগিয়ে আসে শিখরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

নয়াদিল্লিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ছড়িয়ে পড়া সা¤প্রদায়িক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে শিখ ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলি। সহিংসতায় ইতোমধ্যে ৪৬ জন নিহত এবং ৩ শতাধিক আহত হয়েছে। সহিংসতা থেকে বাঁচতে অনেক বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শিববিহার ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়েছে। লেনের পরে লেন খালি হয়ে গেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। বাসিন্দারা (মুসলিম) কেবল শরীরের কাপড় ছাড়া সবকিছুই ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সাড়া না পাওয়ার কারণে দেশের শিখ স¤প্রদায় দাঙ্গার শিকারদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের গুরুদুয়ারাগুলো সহিংসতা থেকে পালিয়ে যাওয়া সকল ধর্মের লোকদের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
গত ২৩ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাজধানীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি সংখ্যাগরিষ্ঠ-মুসলিম অঞ্চলকে হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা টার্গেট করে বাসিন্দাদের দমনের নামে তাদের বাড়িঘর এবং মসজিদগুলিতে আগুন দেয়। নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ থেকে এই সহিংসতা শুরু হয়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন হিন্দুত্ববাদী সরকার গত ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব আইন পাস করে যা মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য সমালোচিত হয় এবং সারা দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
দিল্লি শিখ গুরুদুয়ারা ম্যানেজমেন্ট কমিটি (ডিএসজিএমসি) দাঙ্গা প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে পাশাপাশি হাসপাতালের বাইরের খাবারের ব্যবস্থা করেছিল, যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও প্রিয়জন অপেক্ষা করছিল। শিখ ধর্মীয় নেতাদের জন্য এই ক্রিয়াগুলি লঙ্গরখানার অংশ। প্রতিটি গুরুদুয়ারায় একটি রান্নাঘর রয়েছে যেখানে শিখ এবং অ-শিখরা এসে বিনামুল্যে নিরামিষ খাবার খেতে পারেন।
নয়াদিল্লি কর্তৃপক্ষ কোনও জরুরি মানবিক শিবির তৈরি করেনি। জাতিগত আক্রমণগুলির এই অন্ধকার সময়ে আমরা কেবল হালকা হতে চেয়েছি। ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে লঙ্গরখানা সবার জন্য উন্মুক্ত। আমরা দাঙ্গা দ্বারা প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে তাদের সহায়তা করার জন্য এমনকি পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতেও যাই।
১৯৮৪ সালের নভেম্বরে নয়াদিল্লিতে শিখবিরোধী দাঙ্গায় ৩ হাজার লোক মারা গিয়েছিল। এরপর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার শিখ দেহরক্ষীর হাতে নিহত হন। সূত্র : ফ্রান্স ২৪।

 



 

Show all comments
  • jack ali ৫ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ পিএম says : 0
    May Allah have mercy on Shikh people.. Ameen
    Total Reply(0) Reply
  • afsar shikder ৭ মার্চ, ২০২০, ১০:১৪ এএম says : 0
    The Shikh people helped me lot While I was seeking political assylum in Germany.
    Total Reply(0) Reply
  • afsar shikder ৭ মার্চ, ২০২০, ১০:১৫ এএম says : 0
    The Shikh people helped me lot While I was seeking political assylum in Germany.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ