Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিএএ’র বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে আবারও বিড়ম্বনায় পড়েছে মোদি সরকার। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে সিএএ’র বিরুদ্ধে আবেদন জানালো জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা। তাদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের উচিত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা।

প্রত্যাশিত ভাবেই জাতিসংঘের এই আবেদনের নিন্দা করেছে মোদি সরকার। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ। এ নিয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ আদতে দেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত।’ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে উত্তাল গোটা ভারত। বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন হচ্ছে। দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাসের পর মাস ধরে মহিলারা রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করছেন। আন্দোলনে নেমেছে ছাত্র সমাজ। বস্তুত, কয়েক দিন আগে দিল্লি হিংসার ঘটনাও এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিজের অবস্থানে অনড়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিকবার বলেছেন, দেশের সংসদ এই আইন পাশ করেছে। গণতান্ত্রিক উপায়েই আইনটি বৈধ হয়েছে। ফলে এখন পিছু হঠার কোনও কারণ নেই।

যদিও বিরোধী শিবিরের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কেন্দ্রীয় সরকার আইনটি পাশ করেছে। কিন্তু এটি দেশের সংবিধানের বিরোধী। কারণ আইনে ধর্মীয় বিভেদের ইঙ্গিত রয়েছে। গত কয়েক মাস বেশ কয়েকটি অবিজেপি শাসিত রাজ্য বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংবিধান বেঞ্চে শুরু হয়েছে বিচার প্রক্রিয়া। বেশ কয়েকটি রাজ্য সিএএ বিরোধী প্রস্তাব গ্রহণ করেছে রাজ্য বিধানসভায়।

কিন্তু এই প্রথম সরাসরি কোনও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল। ভারতের বিরোধীদের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল। সোমবার বিকালে জেনেভায় জাতিসংঘের দফতরে ভারতীয় প্রতিনিধিকে ডেকে এ বিষয়ে জানিয়েও দেয়া হয় ওই মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে। এর পরেই নড়েচড়ে বসে ভারত সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, ‘ভারত একটি স্বাধীন দেশ। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এ দেশের আইনসভা একটি আইন পাশ করেছে। আমরা মনে করি, কোনও বিদেশি সংস্থার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। এটা ভারতের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত।’

এর আগেও জাতিসংঘে সিএএ-র প্রতিবাদ হয়েছে। যে প্রক্রিয়ায় সরকার বিরোধীদের উপর আঘাত হানছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এ দিনের ঘটনার পরে বিরোধীদের একাংশের বক্তব্য, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা সারা পৃথিবীর মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। তারা বুঝতে পেরেছে, সিএএ অগণতান্ত্রিক এবং মানবাধিকার বিরোধী। সে জন্যই তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায়, যারা প্রতিবাদ করছেন, তারা ভুল কিছু করছেন না। সূত্র : রয়টার্স।



 

Show all comments
  • পারভেজ ৪ মার্চ, ২০২০, ২:৩০ এএম says : 0
    জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • রিফাত ৪ মার্চ, ২০২০, ২:৩০ এএম says : 0
    জাতিসংঘের আরও জোরালো পদক্ষেপ আশা করছি
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আনোয়ার আলী ৪ মার্চ, ২০২০, ৭:০২ এএম says : 0
    জাতিসংঘ বিষয়টিকে জোড়ালোভাবে দেখবে, আমরা আশাবাদী
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Rezaul Karim ৪ মার্চ, ২০২০, ৯:২৩ এএম says : 0
    জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • মামুন মজুমদার ৪ মার্চ, ২০২০, ১০:০৮ এএম says : 0
    এরপরও আমাদের ভারত চাইছে কিভাবে নিরাপততা পরিষদের স্থায়ি সদস্য পদ পাওয়া যায়
    Total Reply(0) Reply
  • Dr.haidar ali ৪ মার্চ, ২০২০, ১১:০৬ এএম says : 0
    নরঘাতক মোদী সরকার একটি ধর্মের অনুসারীদের কে হত্যা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করাকে দেশের অভ্যান্তরিণ বিষয় বলে বিশ্ব‌ বিবেককে প্রতারণা করছে। জানমালের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটানো আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী হওয়ায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ