পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযোদ্ধার সাংবিধানিক স্বীকৃতি, বঙ্গবন্ধুর দেয়া সংজ্ঞার ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরিসহ ১৫ দফা পূরণের জন্য দুই বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা। দীর্ঘদিনেও তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় এবার লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে নেমেছেন তারা। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা’র ব্যানারে গতকাল রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা।
এ সময় নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় ভুয়া প্রমাণিত হওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা। বিভিন্ন দপ্তরে মুক্তিযোদ্ধা নন এমন ব্যক্তিরাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বেতনভাতা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে না পারায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করা হয় কর্মসূচি থেকে।
আয়োজক সংগঠনের নেতারা বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর পর তাদের সংগঠন দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সামষ্টিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৫ দফা দাবি পেশ করেন। কিন্তু এত দিনেও সেসব বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় আবার তারা মাঠে নেমেছেন।
এই সংগঠনের দাবিগুলোর অন্যতম হলো- সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ শব্দ অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত করা। ১৯৭২ সালের ৭ আগস্ট গেজেট আকারে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞার ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের চ‚ড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করা। এর ভিত্তিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতীয় কমিশন গঠন করা। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় যেহেতু আছে তাই জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) থাকার দরকার নেই বলে তারা মনে করেন। অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
অমুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করে তাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চ‚ড়ান্ত তালিকা করতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ব্যর্থ হয়েছেন অভিযোগ করে তার পদত্যাগ চেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা যে কাজে নিয়োজিত ছিলেন তাদের কর্মপরিচিতি অনুযায়ী তালিকা তেরির ব্যবস্থা করা, তালিকায় থাকা অমুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে দ্রæত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন করা।
অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও পোষ্যদের কোটা পুনর্বহাল, মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব, ঐতিহ্য ও সম্মান রক্ষায় ‘মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইন’ করা, দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে ভাতা বাড়ানো, তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা, স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা ও সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন অনশনকারীরা। সারা দেশের একাত্তরের বধ্যভ‚মি ও গণকবর চিহ্নিত, সংরক্ষণ, শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণেরও দাবি করা হয়েছে কর্মসূচি থেকে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও বিকাল নাগাদ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে প্রথম দিনের মতো অনশন শেষ করা হয়। আজ আবার একইস্থানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন বলে জানান মুক্তিযোদ্ধারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।