পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সংসদের এক অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন বসতে হয়। করোনাভাইরাসের কারণে সেই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটতে যাচ্ছে। কার্যত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের কারণে অধিবেশন আহবান নিয়ে সাংবিধানিক সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে সংসদ।
চলতি সংসদের সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এই অধিবেশন ডাকা সম্ভব নাও হতে পারে। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংসদের বৈঠক করার চিন্তা চলছে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের কারণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশনও স্থগিত করা হয়। ২২ মার্চ জাতীয় সংসদে এই বিশেষ অধিবেশন বসার কথা ছিল। দুই দিনের এ অধিবেশনে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ও ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ এড়াতে সে অধিবেশন স্থগিত করা হয়।
সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদে অনুযায়ী সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকবে না। তবে প্রেসিডেন্ট এ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। কার্যপ্রণালি বিধি দ্বারা বা অন্যভাবে সংসদ যেভাবে নির্ধারণ করবে, সংসদের বৈঠক সে সময়ে ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।
জানতে চাইলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংবিধান অনুযায়ী সংসদ অধিবেশন বসতে হবে। কিন্তু জাতীয় দৈব-দুর্বিপাক হলে সেটা থেকে পরিত্রাণের বিধানও রয়েছে। তবে করোনার কারণে এমপিদের দিকনির্দেশনা দেয়া দরকার। এজন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করার প্রস্তাব এসেছে। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এসব সিদ্ধান্ত দেবেন প্রেসিডেন্ট। সংসদের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর অধিবেশন আহবানের সুযোগ আছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা সম্ভব নাও হতে পারে। ভিডিও কনফারেন্স করতে গেলেও কম-বেশি জনসমাগম হবে। তখন সংবিধানের ‘অ্যাক্ট অব গড’ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।