নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচের আগে গতকাল সিলেটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেয়ার পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেন। সংবাদ সম্মেলনে তার অবসর নিয়ে ছুটে আসছিল একের পর এক প্রশ্ন। পারফরম্যান্স নিয়েও কথা বলেন সাংবাদিকরা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি কিছুদিন আগে জানিয়েছেন, এই সিরিজের পর ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব নিয়ে নতুন করে ভাববেন তিনি। গত বছর বিশ্বকাপে বল হাতে মাশরাফি ছিলেন ভীষণ বিবর্ণ, সংবাদ সম্মেলনে উঠেছে সেসব কথাও। মাশরাফি নিজের মতো করেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ এক মিডিয়াকর্মী বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের আত্মসম্মানবোধ ও লজ্জা প্রসঙ্গ তুলতেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মাশরাফি। জানান, সমালোচনা মেনে নিতে রাজি আছেন সব সময়ই। কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গে আত্মসম্মানবোধ ও লজ্জার কোনো সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন না তিনি। কারণ মাশরাফি মাঠে খেলতে নামেন, ‘চুরি-চামারি’ করতে নামেন না। পারফর্ম করাটা আত্মসম্মানের ব্যাপার- সাংবাদিকের করা একটি প্রশ্নে এটি জুড়ে দিতেই মাশরাফি জবাব দেন কড়া ভাষায়। তিনি বলেন,‘আত্মসম্মান বা লজ্জা.. আমি কি মাঠে চুরি করি? আমি কি চোর? খেলার সঙ্গে লজ্জা, আত্মসম্মান এসব আমি মেলাতে পারি না। এত জায়গায় চুরি-চামারি হচ্ছে, তাদের লজ্জা নাই? আমি মাঠে এসে উইকেট না পেলে লজ্জা লাগবে? আমি কি চোর? উইকেট আমি না-ই পেতে পারি। আমার সমালোচনা আপনারা করবেন, সাপোর্টাররা করবে।’
মাশরাফি যোগ করেন,‘আমি কি বাংলাদেশের হয়ে খেলছি নাকি অন্য কোনো দেশের হয়ে খেলছি, যে আমাকে লজ্জা পেতে হবে? আমি পারিনি, আমাকে বাদ দিয়ে দেবে। ব্যাপারটি সিম্পল। কিন্তু লজ্জা-আত্মসম্মানবোধ আমি কার সঙ্গে দেখাতে যাব? আমি তো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে নামছি। আমি কি বাংলাদেশের মানুষের বিপক্ষের কেউ? এখন যে কেউ পারফর্ম না করতেই পারে।
সেটা তো তার ডেডিকেশন। যদি তার কোনো ঘটতি থাকে, শৃঙ্খলা না থাকে, সেসব নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে।’
মাশরাফি শুধু বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়কই নন, সফলতম বোলারও। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরও বল হাতে ছিলেন দারুণ সফল। তবে সেই পারফরম্যান্সে উজ্জ্বলতা দেখা যায়নি গত বিশ্বকাপে। চোটের সঙ্গে লড়াই করেছেন, বিশ্বকাপ জুড়ে ভুগেছেন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে। নিজের সর্বশেষ ৫ ওয়ানডেতে পাননি উইকেট একটিও। মাঠের ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্ন এবং সমালোচনাকে স্বাগতই জানাচ্ছেন মাশরাফি। কিন্তু মিডিয়াকর্মীর করা প্রশ্নটির লম্বা উত্তরে আবারো তিনি বুঝিয়ে দিলেন, এখানে আত্মসম্মানকে টেনে আনায় কতটা বিরক্ত ওয়ানডে অধিনায়ক। তার কথায়,‘উইকেট আমি না-ই পেতে পারি। আমার সমালোচনা আপনারা করবেন। সমর্থকরা করবেন। কিন্তু লজ্জা পেতে হবে কেন? আমি মানি উইকেট না পেলে সমালোচনা হবেই। কিন্তু কথা যখন আসে লজ্জা বা আত্মসম্মানবোধের, তখন আমার প্রশ্ন থাকে। সমালোচনা করুক, সমস্যা নেই। কিন্তু ক্রিকেট খেলতে এসে আমি কি আত্মসম্মান বিসর্জন দিতে এসেছি?’
মাশরাফি আরো বলেন,‘সবকিছু মিলিয়ে হয়তো আমি পারফর্ম করিনি। জিনিসটা একটু জটিল জায়গায় আছে। কিন্তু এটা নিয়ে ভেবে তো আমি এখান থেকে বের হতে পারব না। আমি গ্যারান্টি দিয়েও বলতে পারব না আমি ৫ উইকেট নিয়ে সব শেষ করে দিলাম। একটা খেলোয়াড়ের জন্য একটা বয়স বা একটা সময় হয়তো আসে, যখন প্রতিদিনই তার জন্য চ্যালেঞ্জিং। আমি হয়তো সেই সময়টায় আছি। কিছুদিন পর হয়তো মুশফিক, রিয়াদ আরো যারা আছে তাদেরও এই সময়টা আসবে। ইয়াং যারা থাকবে তাদের সঙ্গে মেলাতে চাইবে। এটা একটা প্রক্রিয়া।’
নিজের অবসর নিয়ে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন,‘যদি থামতে হয় তো আপনারা জানবেন। থামাথামির বিষয়ে তো অনেকবার প্রশ্ন করেছেন। বারবার প্রশ্ন করার তো কিছু নেই! বোর্ড থেকে যদি কিছু বলে, আপনাদের কিছু যদি জানার থাকে বোর্ডে, সেটা আপনারা বোর্ডকে জানাবেন। বোর্ড তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। আমার সঙ্গে যেটা আলোচনা হবে সেটা পাপন ভাই (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) বা বোর্ড সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সঙ্গে হবে। কিন্তু সেটা আপনাদের কাছে বলার কিছু নাই। আমার যদি কিছু জানানোর থাকে, সে রকম পরিস্থিতি আসলে আমি অবশ্যই জানাবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।