মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে মুসলিমদের উপর চলমান দমন নিপীড়নে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিয়ের মাত্র ১২ দিনের মাথায় নিহত হলেন ২২ বছর বয়সী আশফাক হোসেন। দুপুরে ভাত খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু আর ফেরা হলো না তার। তাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এখন তার লাশ পেতে অপেক্ষায় রয়েছে পরিবার। গায়ে জ্বর নিয়ে বাড়িতে পরে আছেন স্ত্রী তাসলিমা ফাতিমা। ঘুমের মধ্যে স্বামীকে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। স্বামীকে ভালোভাবে জানা কিংবা চেনা হলো না সদ্য বিবাহিত এই তরুণীর।
দিল্লির গোকুলপুরীর অন্তর্গত মুস্তফাবাদের ঘিঞ্জি গলির এক পাশে কোনও রকমে মাথা গোঁজার একটা জায়গা তাদের। পরিবার নিয়ে সেখানেই বসবাস পেশায় বিদ্যুৎকর্মী আশফাকের।
বিয়ে করেন গত ১৪ ফেব্রুয়ারির ভ্যালেন্টাইন ডেতে। উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরের তসলিমার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ভেবেছিলেন সব কিছু মিটিয়েই দিল্লি ফিরবেন। তসলিমকে নিয়ে সেখানেই নতুন জীবনে পা রাখবেন। একে অপরকে চিনবেন, জানবেন। কিন্তু কাজের প্রয়োজনে রোববার রাতে স্ত্রীকে ছাড়াই মুস্তফাবাদে ফেরেন আশফাক। ঠিক তখনই জাফরাবাদ এবং মৌজপুরে বিক্ষোভের আগুনে লাগে। উত্তরপ্রদেশেও সে খবর পৌঁছায়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে পর দিন ফিরে আসেন তসলিমও।
নয়াবউ হিসেবে ওই দিন তার কাঁধেই রান্নার ভার পড়ে। রান্না সেরে দুপুর নাগাদ সবাই একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন। সেই প্রথম পাশাপাশি বসে খাওয়ার সুযোগ হয় স্বামী-স্ত্রীর। কিন্তু দুপুরে খাওয়ার পরই একটি ফোন আসে আশফাকের কাছে।
বলা হয়, পাড়ায় একটি বাড়িতে আচমকা বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে। তাকে গিয়ে দেখতে হবে। ১২ দিনের স্ত্রীকে রেখে বাড়ি থেকে বের হন আশফাক। পরস্পরকে সেই শেষ দেখা তাদের। তারপর আর ফেরা হয়নি আশফাকের।
বাড়ি থেকে কিছু দূর এগোতেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরিবারের লোকজন কিছু জানার আগে স্থানীয়রাই তাকে নিউ মুস্তফাবাদের আল হিন্দ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় আশফাকের। ময়নাতদন্তের জন্য পরে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তার লাশ। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত তার দেহ হাতে পায়নি পরিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।