বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাছের ঘের দখল করতে গিয়ে এমপির পিএ'র নেতৃত্বে হামলা, ইজারা গ্রহণকারী সহ ৩ জন গুরুতর জখম, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ ।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কাউয়ারচর এলাকায় মাছের ঘের দখল করতে গিয়ে ঘের ঘের মালিকের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে মাছ চাষকারী নুরবাহাদুর, ভাই সোহেল ও জুয়েলকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে স্থানীয় সরকার দলীয় এমপির পিএ'র তরিকুলের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এঘটনায় আরো আহত হয়েছে দুইজন। তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়ার পথে আরো এক দফা হামলা করা হয়েছে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলারসর ইউনিয়নের চাপলি এলাকার কাউয়ারচরে এঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত নুরবাহাদুরের ভাই সোহেল জানান, ওই এলাকায় প্রায় ৩০একর জমির উপর মাছ ও কাকড়া চাষের জন্য ঘের তৈরি করে নিয়মিত চাষ করে আসছে। কিছুদিন আগে স্থানীয় এমপি মুহিবুর রহমান মুহিব এর পিএ তরিকুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ওই ঘের থেকে মাছ ও কাকড়া লুট করে নিয়ে যায়। পরের দিন গোটা ঘের দখল করতে গেলে আহতরা বাধা দিলে পুলিশী হস্তক্ষেপে তা থেমে যায়। পরে পুলিশ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে মালিকরা বৃহন্পতিবার বিকালে মাছের পোনা ছাড়ার জন্য শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে যায়। সোহেল জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে পিএ তরিকুলসহ প্রায় ৩০জনের একদল সশস্ত্র যুবক আচমকা নুরবাহাদুর সোহেলসহ তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় রামদা দা বডি দিয়ে বাহাদুর, সোহেল, জুয়েলকে কুপিয়ে আহত করে। তাদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে চাচা হেলালও আহত হয়েছে। সোহেল আরো জানান, আহত অবস্থায় তাদেরকে কলাপাড়া হাসপাতালে নেয়ার পথে দ্বিতীয়দফা হামলা চালানো হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি হলে আশংকা জনক অবস্থায় তাদেরকে বরিশালে পাঠানো হয়।পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় রেফার করা হয় বলে জানিয়েছেন গুরুতর আহত সোহেল ।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনরি সাথে জড়িত নয় বলে দাবী করেন পিএ তরিকুল। তিনি জানান, "আমি আজ সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে কলাপাড়া এসেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।" আমার বাড়িও ওই এলাকায়, অভিযোগকারী সোহেলের চাচা মশিউর হাওলাদার কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সেক্রেটারি ক্যান্ডিডেট ছিল, তবে তিনি না হতে পেরে আমাকে দোষারোপ করে সেই থেকে তারা আমার ওপরে ক্ষিপ্ত। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হয়রানি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে । মহিপুর থানার ওসি তদন্ত মাহবুবুর আলম জানান, ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিকভাবে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে জানতে পারে সেখানে তিনচার জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এব্যাপারে থানায় ২০জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।