Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দিল্লির মসজিদে আগুন দেয় পুলিশ : ওয়াশিংটন পোস্ট

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

হঠাৎ করেই অশান্ত হয়ে উঠল দিল্লি। গত রোববার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরোধী ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তারপর থেকেই টানা কয়েকদিন ধরে সহিংসতায় উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন স্থান। বিক্ষোভ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও দুই শতাধিক মানুষ। দিল্লিতে কমপক্ষে তিনটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে বহু বাড়ি-ঘর এবং দোকান-পাটেও হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, দিল্লির সহিংসতায় দুর্বৃত্তদের সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতা বন্ধের চেষ্টা না করে উন্মত্ত জনতার সঙ্গে যোগ দিয়ে জয় শ্রী রাম বলে স্লোগান দিচ্ছিল পুলিশ। একই সঙ্গে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে তারা।

ফারুকিয়া নামের একটি ছোট মসজিদের দেখাশুনা করেন মোহাম্মদ আব্বাস (৮৫)। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকালে নামাজের পর একদল পুলিশ কর্মকর্তা মসজিদের ইমাম এবং তার ওপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা তাকে দেশদ্রোহী বলে গালাগালি দিচ্ছিল। তার চোখের সামনেই ওই পুলিশ সদস্যরা মসজিদ ভাংচুর করেছেন এবং আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এরপরেই সেখান থেকে মোহাম্মদ আব্বাসকে একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সে সময় তার সারা শরীর রক্তাক্ত ছিল। তিনি বলেন, তারা আমাকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে। আমার ভাত ভেঙে গেছে। তবে পুলিশের মুখপাত্র রান্ধওয়া এই ঘটনা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন কোনো ঘটনার প্রমাণ পেলে প্রশাসন অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট।



 

Show all comments
  • Bilal Hossen Biplob ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২১ এএম says : 0
    মোদীর মতো "ধর্মাবতার " ক্ষমতায় আছে! এরপরও ভারত অসাম্প্রদায়িক দেশ?? সাম্প্রদায়িকতার বিনাশ হোক!
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah Al Baki ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২১ এএম says : 0
    কোন ধর্মই উগ্রতার স্থান নেই! বিজিপি একটি ধর্মহীন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।
    Total Reply(0) Reply
  • Munir Ahmed ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২২ এএম says : 0
    সত্যিই হয়তো ধর্ম নিরপেক্ষ ভারত আজ তার পরিচয় বদলে ফেলতে চাচ্ছে। হয়তো এর প্রভাব অনেকদূর গড়াবে..
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ashraful Hossain ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২২ এএম says : 0
    আসলেই মুসলমানরা একটু বেশিই উদার। প্রায় এক হাজার বছর উপমহাদেশ শাসন করলো অথচ কখনো তাদের পরবর্তী জেনারেশন নিয়ে ভেবেছিলেন? যদি ভাবতো তাহলে আজকে এমন পরিস্থিতি দেখতে হতোনা। দুনিয়া বাদ দিয়ে আখিরাত কি করে হবে সেটাই বুঝিনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Jubaier Ahmed ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২৩ এএম says : 0
    আধুনিক সভ্যতার যুগে এসে একজন বর্ণবাদী উগ্র ধর্মান্ধতায় বিশ্বাসী ও সৃজনশীল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পরিপক্ক মোদি এতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারবে গণতন্ত্র শীল ভারতবর্ষে এটা সত্যি অকল্পনীয় ছিল। নিরীহ মানুষ হত্যা ও তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় ভেঙ্গে দেয়ার মত জঘন্য কার্যক্রমে বর্ণবাদী মুদির সমর্থন দুঃখজনক। তাই আসুন বর্ণবাদমুক্ত পৃথিবী গড়তে এখনই সময় মোদিকে শান্তিপ্রিয় পৃথিবী থেকে বিদায় জানানো।
    Total Reply(0) Reply
  • পারভেজ আলম ফ্রান্সিং ডিজাইনার ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২৩ এএম says : 0
    কি আজিব আমাদের নেতারা ইন্ডিয়াতে মোদি সাম্প্রদায়িক ভাবে মানুষ খুন করলেও তাকে সাপোর্ট করে, আর বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক কোন অনুষ্ঠানের কথা শুনলেও বাধা দেয়ার চেষ্টা করে
    Total Reply(0) Reply
  • Md Nabiul ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ২:২৪ এএম says : 0
    গুজরাটের সন্ত্রাসী চা বিক্রেতা মোদি আর চাঁদাবাজ অমিত শাহ মিলে পুরো ভারতে দাঙ্গা সৃষ্টি করেছে। ভারতের শাসকের মধ্যে মুর্খতায় ভরে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ekramul Haque ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৭:২২ এএম says : 0
    বলার ভাষা হারিয়ে গেছে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিন্তু তার কাটার বেড়া আলাদা। তাই এতোটুকুই বলবো গাজওয়ায়ে হিন্দ আর বেশি দূরে নয়। জাগ্রত হও মুসলমান, বীর চেতনাকে জাগ্রত করে সঠিক সময় শক্তির ব্যবহার কর। মুসলমান যেমন উদারতা মনি কঠোর হতে পারে। ইনশা আল্লাহ
    Total Reply(0) Reply
  • Moniar Hassain ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৩৪ এএম says : 0
    The Hindutabadd Modi government is trying to make the India sub-continent to host human civilization by his religious extremist attitude. The United States is publishing the grocery store again. Gujarat and Delhi Muslims carry out the real evidence of the silk. Different dismissal people live in all the people of the world, but no other country except India, ethnic impression is not trying to ethnicity. Give the humanity priority. No religion in the world encourage humanity and sacrifice to religion.
    Total Reply(0) Reply
  • Moniar Hossain ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:৪১ এএম says : 0
    The Hindutva Modi government is trying to subvert the Indian subcontinent through its religious fanaticism to destroy human civilization. The Modi government has been repeatedly persuading ethnic riots. The Muslims of Gujarat and Delhi bear factual evidence of the massacre. People of different religions live in all parts of the world, but in India, apart from India, there is no attempt to kill people on the basis of religion. Make humanity a priority. No religion in the world encourages humanity to practice religion.
    Total Reply(0) Reply
  • Amir ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:৩০ এএম says : 0
    ভারতে কি এমন কোন দেশ প্রেমিক জনগণ নেই যারা শান্ত ভারতকে অশান্ত করছে তাদের রুখে দিবেন!যে আইন দেশের লোক চায়না সেটা চাপিয়ে দিয়ে দেশকে টুকরা করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া এ কেমন আত্মঘাতী পদক্ষেপ!
    Total Reply(0) Reply
  • সজীব ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ৯:২৫ পিএম says : 0
    মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র যদি দিল্লী থেকে রচিত হয় , তবে ষড়যন্ত্রের জবাব আরশে আজীম থেকে রচিত হবে। ইনশাআল্লাহ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ