পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবৈধ দখলে থাক সারাদেশের নদী-খাল উদ্ধারে দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযান শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গতকাল মঙ্গলবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ অভিযান চলছে। উচ্ছেদের প্রথম দিনে কুড়িগ্রাম প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ দখলকৃত জমি উদ্ধার এবং টাঙ্গাইলের লৌহজং নদী দখল করে গড়ে উঠা সাততলা বিশিষ্ট একটি ভবন উচ্ছেদ করা হয়েছে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, ৬৪ জেলার ৪৬৮টি নদী উদ্ধার ও খননের জন্য শনাক্ত করা হয়েছে। এসব নদীর ৪৪ হাজার একর জায়গায় দখলদাররা নানাভাবে দখল করে আছে। নদী ও খালের জায়গা ভরাট করে সেখানে নানা স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এ গুলো উদ্ধারে গতকাল থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ের অভিযান দুই মাস আগে করা হয়েছিল। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। অভিযানে দেশের প্রায় সকল নদী ও খালকে দখলমুক্ত ও সেখানে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে। নদী-খাল উদ্ধারে ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে কাজ করছে। ডেল্টা প্লেনে নদী-খালের দখল উচ্ছেদ করে ভরাট অংশ খনন করা হবে। নদী ও খালের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ নিশ্চিত করার পর নদীর পাড়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ছোট ছোট পার্ক তৈরি ও বৃক্ষরোপণসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
পানি আইন ২০১৩ অনুযায়ী যেসব নদী-নালা, খাল-বিল দখলদারদের দখলে রয়েছে তা উদ্ধার এবং খনন কাজ হাতে নেয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। গতবছর ২৩ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে নদী-খাল উদ্ধারে নামে মন্ত্রণালয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমিতে অবৈধভাবে দখলকৃত দোকান-পাটসহ সবধরণের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, চিলমারী, উলিপুর ও রৌমারী উপজেলায় ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার প্রায় ৫৩ কিলোমিটার তীররক্ষা বাঁধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব এলাকায় পাউবোর জমিতে যেকোনো ধরনের অবৈধ বসতবাড়ি, দোকানপাটসহ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে দখলমুক্ত করে বাঁধগুলো সংস্কার করা হবে। অভিযান পরিচালনাকালে কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিশ্বাস চাকমা ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, কুড়িগ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের ঘোষপাড়া এলাকায় প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ দখলকৃত জমিতে কাঁচা-পাকা স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে এ অভিযান শুরু করে পাউবো।
টাঙ্গাইলের লৌহজং নদী উদ্ধারে দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে। জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, নদীর অবৈধ দভলদারদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য এই উদ্যোগ চলতেই থাকবে। যত দিন লাগবে নদী উদ্ধার কার্যক্রম চলতে থাকবে। তিনি সকলকেই নদীর অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরাতে বলেন। তা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নদীর দুই পারে প্রথম পর্যায়ে তিন কিলোমিটারের ২৬০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে এবং ধারাবাহিকভাবে ৬৫ কিলোমিটার নদীই অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, হাইকোর্ট সারাদেশে নদ-নদী উদ্ধারের আদেশ দিয়েছেন। যারা নদ-নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন তাদের নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। তা না করলে সরকার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করে তার খরচ আদায়ের জন্য দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে। এছাড়া, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, জয়পুর হাট, সিরাজগঞ্জ, জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলা এ অভিযান শুরু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।