নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। প্রায় দু’বছর ধরে নির্বাচনী মাঠে থাকা আলোচিত ফুটবল সংগঠক তরফদার মো. রুহুল আমিন হঠাৎ করেই ঘোষণা দিলেন বাফুফের আগামী নির্বাচনে তিনি সভাপতি পদে লড়বেন না। বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি’র এ ঘোষণায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ফুটবলাঙ্গন। ধারণা করা হয়েছিল আগামী এপ্রিলে বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হতে পারেন। কিন্তু সবার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সামনে এসেছেন বাফুফের বর্তমান সহ-সভাপতি বাদল রায়!
বৃহস্পতিবার দুপুরে মতিঝিলস্থ ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সাবেক তারকা ফুটবলার, মোহামেডানের স্থায়ী সদস্য ও বাফুফের তিনবারের সহ-সভাপতি বাদল রায়, ‘বাফুফের আসন্ন নির্বাচনে যদি কেউ সভাপতি পদে না দাঁড়ান, তাহলে আমিই এই পদে নির্বাচন করবো। সালাউদ্দিনকে সময় দেয়া যাবে না, ফাঁকা মাঠে গোল দেয়া যাবে না। সবার মতো আমিও চাই বাফুফে’তে নতুন নেতৃত্ব আসুক। আসুন সবাই মিলে একজনকে নিয়ে আসি। আশা করি, কেউ না কেউ দাঁড়াবে। সভাপতি পদে নতুন কেউ প্রার্থী না হলে আমি নিজেই প্রার্থী হবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি নতুন জীবন নিয়ে এসেছি। এ অবস্থায় দেশের ফুটবল উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করি। ভাল খারাপ-সব সময়ই থাকি। সাফ ফুটবলে তার প্রমাণও আছে। প্রতিবাদ করতেই আমার জন্ম। ফুটবলের খারাপ কিছু আমার সহ্য হয় না। কী পেলাম? কাজে ফিরতে চাইলাম। ৩৮০ উপজেলায় হান্টিং করলাম। পরিকল্পনা নিলাম। বহুবার আমার সঙ্গে বসতে বলেছি সালাউদ্দিন ভাইকে। একাডেমি করার প্রস্তাব আমার ছিল। তৈরিও করেছিলাম। দুঃখ লাগে, সেটা হারালাম। সিলেটে অনূর্ধ্ব-১৬ দল চ্যাম্পিয়ন হলো। সবাই পরে হারিয়ে গেল। আমি মনে করি সালাউদ্দিনের সাংগঠনিক দক্ষতা একেবারেই নেই। তিনি শুধু চেয়ারটা উপভোগ করছেন।’
বাফুফের অন্যতম এই সহ-সভাপতি যোগ করেন, ‘তরফদার সাহেব আসলেন। তিনি শেখ কামালকে স্মরণ করে টুর্নামেন্ট করলেন। সালাউদ্দিন সাহেবকে কখনো শেখ কামালের নামও নিতে শুনিনি। উনি নাকি কামালের বন্ধু ছিলেন! তরফদারকে সমর্থন করি এই কারণে যে, তিনি এগিয়ে এসেছেন ফুটবল উন্নয়নে কাজ করতে, অর্থ দিলেন, তাকেই তো সমর্থন করবো। নাকি যিনি ধ্বংস করেছেন তাকে করবো? তরফদারের সিদ্ধান্তে আমি প্রস্তুত ছিলাম না। বাংলাদেশ ফুটবল তো মরে গেছে, কবর দেওয়া বাকি। তিনি বসিয়ে দিলেন তরফদারকে। চাপ তো আমিও দিতে পারি। আমি এখনো ফিট কাজের জন্য। চেয়েছি কাজ করতে, পারিনি।’
ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসংশা করে বাদল আরো বলেন, ‘দেশের খেলাধুলায় ভালো ফলাফলের জন্য উৎসাহ যোগাতে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জুড়ি মেলা ভার। তিনি সব ডিসিপ্লিনের খেলোয়াড়দেরই ভালবাসেন। তারা যেন ভালো ফলাফল করতে পারে তার জন্য উৎসাহ যোগান। বিশেষ করে নারী খেলোয়াড়দের মাঠে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা অনবদ্য। এটা বলতেই হবে। কিন্তু আমাদের নারী ফুটবল দলের সাফল্যে বাহবা নিতে দেরি করেন না সালাউদ্দিন। ফুটবলের সংকট চলছে, সবাই বলছে আমাকে সামনে আসতে। ফুটবল ছাড়া সব জায়গাতেই শেখ হাসিনা সফল। সালাউদ্দিন সাহেব চাপ দিয়ে তরফদারকে সরিয়েছেন। তিন ঘন্টার মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করলেন। এটা দুঃখজনক। মহিকে (মহিউদ্দিন মহি) যেভাবে বলেছেন, এটাতে পরিস্কার, তার টার্গেটটা আসলে কী? মুজিববর্ষে সালাউদ্দিন ভাই বঙ্গবন্ধুর নামে টুর্নামেন্ট করেছেন মানহীন দল এনে। এতে কি প্রমাণ হয়?’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।