Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘বোলি নেহি তো গুলি’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

দিল্লি নির্বাচনের প্রচারের সময় বিজেপি নেতার ‘গুলি মারো’ মন্তব্যকে মোটেই সমর্থন করে না দল। স¤প্রতি এমনই জানিয়েছেন অমিত শাহ। এই ইস্যুতে এবার প্রবীণ ওই বিজেপি নেতার নাম উল্লেখ না করে কটাক্ষ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘এ যেন অনেকটা রোগী মারা যাওয়ার পর চিকিৎসক আসার মতো ব্যাপার’। আজকাল শুধু মতের বিরুদ্ধে কথা বলায় প্রতিবাদীদের গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন কিছু ব্যক্তি। বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে মমতাকে এমন মন্তব্যও করতে শোনা যায়।
দিল্লিতে ভরাডুবির বিষয়ে নীরবতা ভেঙে অমিত শাহ গত বৃহস্পতিবার বলেন, প্রচারের সময় যেভাবে ‘গুলি মারো’ বা ‘ইন্দো-পাক ম্যাচ’ এর মতো সেøাগান ব্যবহার করা হয়েছে তা মানুষ ভালভাবে নেননি। আর এ ধরণের মন্তব্যই দলের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হতে পারে।
বিরোধী দলের নেতাদের কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘আপনি যদি কারো সঙ্গে একমত না হন, তাহলেই বলে দিচ্ছেন ‘বোলি নেহি তো গুলি’। ওরা সবাইকে গুলি করার হুমকি দিচ্ছেন। আর এখন বলছেন এটা বলা উচিত হয়নি।
নিজের ওমন বক্তব্যকে ধামাচাপা দিতে এটা বলা ঠিক হয়নি বলার কি দরকার? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, তার কথাগুলো অনেকটা এমন যে রোগী মারা যাওয়ার পর চিকিৎসক আসার মতো ব্যাপার। বাজেট অধিবেশন শুরুর সময় রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপাল যে ভাষণ দেন তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি ওইসব কথা বলেন।
মমতা বলেন, ‘বাংলায় আমরা মহিলাদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য কড়া আইন করেছি। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনায় পুলিশ তৎক্ষণাৎ অভিযোগ দায়ের করে এ রাজ্যে। অথচ উত্তরপ্রদেশে দেখুন, সেখানে নির্যাতিতা মহিলাকে জীবিত পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হামলা করা হয় তার পরিবারের উপরেও’। পশ্চিমবঙ্গে এ ধরণের পরিস্থিতি নেই। সূত্র : এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ