নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ সংস্করণ মাঠে গড়িয়েছে বৃহস্পতিবার। তবে বর্তমান বিশ্বের আতঙ্ক দকরোনাভাইরাসের’ প্রভাব পড়েছে এই লিগে। যথারীতি স্পন্সর ছাড়াই মাঠে গড়ালো দেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর বিপিএল। কারণ এবারের বিপিএলে পৃষ্ঠপোষকতা করার কথা ছিল চায়নাবেজড একটি কোম্পানীর। বিপিএলের স্পন্সরশিপ রাইট রয়েছে আইএসপির (ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস পার্টনারস)। যে প্রতিষ্ঠানটি চীনের তত্বাবধানে পরিচালিত। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে দিন পার করছেন বিশে^র শত কোটি মানুষ। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে চীনে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা। করোনার প্রভাব চীন ছাড়িয়ে বিশে^র অন্য দেশেও প্রভাব ফেলেছে। ফলে বর্তমানে আতঙ্কে দিন পার করছে মানুষ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত না হলেও দেশের ফুটবলে যে এই ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে তার প্রমাণ শুরু হওয়া বিপিএল! করোনাভাইরাসের কারণে নাকি স্পন্সর পাচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি বলেন,‘যেহেতু আইএসপি এর মূল অফিসটা চীনে তাই তারা আমাদের কাছ থেকে কিছুটা সময় নিচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে চীনের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আমদানী রপ্তানীসহ সকল ধরনের কাজগুলো স্লথ রয়েছে। তবে আইএসপির সঙ্গে বাফুফের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে; তারা আমাদের সময় মতো লিগ শুরু করতে বলেছে। প্রতিষ্ঠানটি স্পন্সরশীপের সব ধরনের কাজ শেষ করে রেখেছে। বিপিএলের দ্বাদশ আসরের টাইটেল স্পন্সরের নাম দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর ঘোষণা করা হবে। গত মৌসুমেও তাই হয়েছে।’
স্পন্সরের নাম লিগের মাঝপথে ঘোষণা করা হলে সমস্যা নেই। তবে স্পন্সর ছাড়া বিপিএল চললে প্রশ্ন উঠতে পারে বাফুফে কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে। এমনিতেই বিপিএল এখন মাঠে গড়ায় অনেকটা নীরবেই। কিছুদিন আগেও জমকালো আয়োজনে ঘটা করে প্রিমিয়ার লিগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হতো। যেখানে গণমাধ্যমের উপস্থিতি থাকত ব্যাপক। অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর কর্মকর্তা, কোচ ও অধিনায়কদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতো লিগ শুরুর আগে। যেখানে ক্লাবগুলো আসন্ন লিগে নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কথা জানাত। দু’বছর আগে সাইফ পাওয়ারটেক যখন বিপিএলের স্পন্সর ছিল তখন পর্যন্ত এই ধারা অব্যহত থাকলেও এখন আর তা নেই। এর আগে সিটিসেল, গ্রামীণফোন, নিটল-টাটা, মান্যবর এবং জজ ভুঁইয়া (জেবি) বিপিএলের স্পন্সর থাকাকালীন প্রতিষ্ঠানের নামে লিগের নামকরণ ছিল। কিন্তু গত বছর ২০১৮-১৯ মৌসুম থেকে এই ধারায় ব্যত্যয় ঘটে। লিগের মাঝপথে গিয়ে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করে বাফুফে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।