পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বন্দরের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদেরকে তিন মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আগে সংশ্লিষ্ট স্থানের পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ১২ মে। ইতিপূর্বে দেয়া এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল হাইকোর্টে হাজিরা দেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। পরে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
গতকাল রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার ইমরানুল কবীর।
আদালত থেকে বেরিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের অধীনে থাকা কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের (বন্দর কর্তৃপক্ষ) তিন মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আগে সংশ্লিষ্ট স্থানের পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহায়তায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১২ মে দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ২০১৬ সালে রায় দিয়েছিলেন আদালত। এসব স্থাপনা উচ্ছেদে আমরা বার বার আদালতে আসছি। সর্বশেষ ডিসির পক্ষ থেকে তার অধীনের জায়গাগুলো কিছু উচ্ছেদ করেছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, বন্দর এলাকায় যে জায়গা সেটা তারা উচ্ছেদ করতে পারবে না। কারণ ওখানে বন্দরের কর্তৃপক্ষ তখন আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বন্দর চেয়ারম্যানকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বললে তারা সময় চেয়ে বলেন ৫৮ একর সম্পত্তির মধ্যে ২০ একর উচ্ছেদ করে ফেলছি, ৬ মাস সময় দেন। কিন্তু আমাদের আপত্তির পর আদালত তিন মাস সময় দিয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। তিন মাস পরে আদালত বন্দর চেয়ারম্যানকে হাজির হতে বললো। তখন আবার একটা আবেদন দিলো আরও কিছু সময় পরে হাজির হওয়ার জন্য। এরপর আদালত ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। আজকে (মঙ্গলবার) হাজির হয়ে ( চেয়ারম্যান) লিখিত আবেদন দিয়ে বলেছেন,-আমরা (বন্দর কর্তৃপক্ষ) কাজ করছি। অলরেডি ৫৮ একরের মধ্যে ৩৫ একর উচ্ছেদ করেছি। ২৩ একর উচ্ছেদে বিভিন্ন সমস্যা আছে। আরও ৬ মাস সময় প্রয়োজন। তখন আমরা আপত্তি দিয়েছি। আদালত সমস্যার বিষয়গুলো লিখিত দিতে বলেন। পরে তারা লিখিতভাবে দিয়েছেন। সেখানে বলেছে-ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করলে তারা উচ্ছেদ করতে পারবে না। এটা একটা ঝামেলা হবে।’ ‘পরে আদালত পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে অবৈধ স্থাপনা তিন মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ দেন। আরেকটি প্রতিবেদন দিতে হবে। ‘কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের পর আদালত রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান এবং বিচারপতি কাশেফা হোসেনের ডিভিশন বেঞ্চ রুল চূড়ান্ত ঘোষণা করেন। এ সময় আদালত
এ বিষয়ে ১১ দফা নির্দেশনা দেন। ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট রায়ের অনুলিপি দেয়া হয়। ওই রায় অনুসারে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু কয়দিন চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল কর্ণফুলীর তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা অবিলম্বে উচ্ছেদে বন্দর চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশে আংশিক উচ্ছেদ করা হয়। পরে আবার আবেদন করা হলে আদালত বন্দর কর্তৃপক্ষকে সময় দেন। সময় পার হলেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে ফের সময় আবেদন করায় বন্দরের চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।