রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মীরসরাইয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। নিহত গৃহবধূর নাম নাহিদা আক্তার সুমি (২০)। গত রোববার দুপুর ২ টার সময় উপজেলার ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়নের কদমতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ওমর ফারুক, শশুর আকতার হোসেনসহ বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালে মীরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলের সাথে একই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের চত্তরুয়া সরকার তালুর গ্রামের প্রবাসী নুরুল আফছারের মেয়ে নাহিদা সুলতানা সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ৫ বছর ও ১ বছর বয়সের দুটি মেয়ে রয়েছে। তারা গত কিছুদিন ধরে কদমতলা এলাকার নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
নিহত সুমির মা পপি আক্তার অভিযোগ করেন, বিয়ের পর কয়েক মাস ভালো চললেও পরে বিভিন্ন সময় ঠুকনো কারণে আমার মেয়েকে স্বামী, শশুর, শাশুড়ি মারধর করতো। তাদের পারিবারিক কলহ নিয়ে একাধিক বার বৈঠকও হয়েছে। তারা আমার সুমিকে বাঁচতে দিলো না। আমার মেয়ের খুনিদের শাস্তি চাই।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে গত রবিবার দুপুরে কদমতলা এলাকার নিজাম উদ্দিনের বাড়ি থেকে নিহত নাহিদা আক্তার সুমির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে সুমির স্বামী, শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।