মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের জাতীয় নাগরিক সংশোধনী আইন বা সিএএ ক্ষমতাসীনদের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্তত প্রথম পরীক্ষা হিসেবে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের এক্সিট পোল থেকে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি বা আপ ৭০ আসনের দিল্লি বিধান সভার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসছে। তারা বিভিন্ন এক্সিট পোলের আভাস অনুযায়ী ৪৫ থেকে ৬৩টি পর্যন্ত আসন পেতে পারে। অন্যদিকে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৬টি আসনে জয়ী হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি তথা কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিধায়করা। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে উঠতে পারে মাত্র ২ থেকে ৪টি আসন। এদিকে পরাজয়ের পূর্বাভাস পেয়েই দলের সাংসদদের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন অমিত শাহ। এ বৈঠকে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
এবিপি নিউজ-সি ভোটারের বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত, দ্বিতীয়বারের জন্য দিল্লি দখল করবে আপ। এক্ষেত্রে আপ পেতে পারে ৪৯-৬৩ আসন। বিজেপি জিততে পারে ৫-১৯ আসন। কংগ্রেস ৪টি আসনে জয় পেতে পারে। রিপাবলিক জন কি বাতের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মোট ৭০ আসনের মধ্যে ৪৮-৬১ পেতে পারে আম আদমি পার্টি। বিজেপির দখলে থাকতে পারে ৯-২১ আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ১টি। নিউজ এক্সের জনমত সমীক্ষায় প্রকাশ, এবারের ভোটে ৫৩-৫৭টি আসন পেতে পারে কেজরিওয়ালের দল। বিজেপি পাবে ১১-১৭টি আসন। মাত্র ২টি আসনে জয়লাভ করতে পারে কংগ্রেস। টাইমস নাও-আইপিএসওএস সমীক্ষায় বলা হয়েছে আম আদমি পার্টি পেতে পারে ৪৪ আসন। বিজেপি পেতে পারে ২৬ আসন। টিভি-৯-এর সমীক্ষায় ইঙ্গিত, ৫৪টি আসন জিতবে আপ ও বিজেপির দখলে যাবে ১৫টি আসন। কংগ্রেস জিততে পারে মাত্রা ১টি আসনে।
দিল্লি বিধানসভায় মোট ৭০ আসনের লড়াই। দিল্লির কুর্সি দখলের লড়াইয়ে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা অবধি ভোটের হার প্রায় ৫৭ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার ভোটদানের হার কম হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মোট ভোটদানের হার ছিল ৬৭.৪৭ শতাংশ।
সিএএ, শাহিনবাগ, জামিয়া, জেএনইউ আবহেই গতকাল শনিবার দিল্লির কুর্সি দখলের লড়াই হয়। দিল্লি নির্বাচনের প্রাক্কালেই একাধিক ইস্যু নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব ছিল অন্য দলগুলি। ২০১৫ সালের মতো এবারের দিল্লি নির্বাচনেও কি উঠবে ঝাড়ু-ঝড়? স্পষ্ট হবে আগামী মঙ্গলবার।
নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সব ধরনের প্রচেষ্টা চালায় বিজেপি। এমনকি ‘দিল্লিকে ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে’ বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন চরম জঙ্গি মনোভাবাপন্ন গিরিরাজ সিংহ। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো নেতারা কেজরিওয়ালসহ সিএএবিরোধী আন্দোলনকারীদের নানাভাবে আক্রমণ করে কথার বাণ ছুড়েছেন নির্বাচনী প্রচার জুড়েই। এর পরও বিজেপিতে প্রত্যাখ্যানের যে পূর্বাভাস এক্সিট পোল থেকে মিলছে তা হিন্দুত্ববাদী এই দলটিকে আসন্ন বিধান সভা নির্বাচনের আগে নিজেদের কর্মকান্ড সংশোধনের শেষ সুযোগ দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র : এবিপি আনন্দ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।