নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কুস্তির কোচ হয়ে আসছেন ইরানি কিংবদন্তীইরানি কুস্তি কোচ আসগরী মোহাম্মদিয়ান ঢাকায় আসছেন। বাংলাদেশের কুস্তিগীরদের প্রশিক্ষণ দিতেই আসবেন তিনি। তবে আসগরী কবে ঢাকায় পা রাখবেন তা এখনো চুড়ান্ত হয়নি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেসলিং ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন আজাদ বলেন,‘দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আসবেন আসগরী মোহাম্মদিয়ান। তবে তার আসার দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়নি। কারণ উনার মাসিক বেতন কত দিতে হবে, তা জানায়নি ঢাকাস্থ ইরানি কালচারাল সেন্টার।’
দু’বার অলিম্পিক গেমসে রুপা জিতেছেন আসগরী। এশিয়ান গেমসে জিতেছেন স্বর্ণ। তার ছেলেও স্বর্ণজয়ী অলিম্পিয়ান। ইরানের সেই পালোয়ান কুস্তিগীর আসগরী মোহাম্মদিয়ান এর আগেও বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানান মেসবাহ উদ্দিন আজাদ। তিনি আরো বলেন,‘গত দশকে প্রথমবার ঢাকায় এসেছিলেন আসগরী। ওই সময় লাল-সবুজের কুস্তিগীরদের অনুশীলন করালেও আন্তর্জাতিক কোন টুর্নামেন্টে তখন খেলা হয়নি বাংলাদেশের । তিনি যখন বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে তখন ২০০১ সালে নাইন ইলেভেনের কারণে স্থগিত হয়ে যায় ইসলামাবাদ সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস। অবশ্য এই গেমস পরে ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ততদিনে চুক্তি শেষ হওয়ায় এবং বাংলাদেশ রেসলিং ফেডারেশনের ওপর কিছুটা বিরক্ত হয়ে ফিরে যান আসগরী মোহাম্মদিয়ান। বাংলাদেশীদের কাছে প্রায় অপরিচিত হলেও ইরানের বিখ্যাত কুস্তিগীর তিনি। ১৯৮৮ সিউল অলিম্পিক গেমসে ৫৭ কেজিতে এবং ১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিকে ৬২ কেজিতে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন আসগরী মোহাম্মদিয়ান। ১৯৮৯ সালে বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপেও জিতেছেন রুপা। শুধু তাই নয়, ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জয় করেন আসগরী মোহাম্মদিয়ান। এর আগে ১৯৮৩ সালে তেহরানে এশিয়ান রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৫৭ কেজি ওজন শ্রেণীতে স্বর্ণজয়ী তিনি। কেবল আসগরীই নন, তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন মোহাম্মদিয়ানও তারকা কুস্তিগীর। ২০১৫ সালে দোহায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৯৭ কেজি ওজহন শ্রেণীতে স্বর্ণপদক জিতেছেন ২৮ বছর বয়সি মোহাম্মদ হোসেন। আজাদ বলেন, ‘আমরা ঢাকাস্থ ইরানী কালচারাল সেন্টারের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করেছিলাম একজন কোচের বিষয়ে। তারা আসগরীকে পছন্দ করেছে। কিন্তু আসগরীকে কত টাকা পারিশ্রমিক দিতে হবে তা জানায়নি। তাছাড়া অর্থ বেশি চাইলে আমরা হয়তো দু’য়েকমাসের জন্য আসগরীকে আনবো।’
এদিকে প্রায় এক মাসের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের ১২ জন পুরুষ ও নারী কুস্তিগীরকে ভারত পাঠানো হবে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে। ১৭ ফেব্রয়ারি থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলবে। প্রশিক্ষণ শেষে ওই কুস্তিগীররা দেশে ফিরলে আরেকটি দল ভারত পাঠানো হবে বলে জানান আজাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।