Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফের প্রকাশ্য জনসভায় গুলির হুমকি যোগীর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

কয়েক দিন আগেই প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছিলেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যারা প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে বদলা নেয়া হবে। বিরিয়ারিন বদলে তাদেরকে গুলি খাওয়ানো হবে। এবার তিনি ফের প্রকাশ্য জনসভা থেকে ঘোষণা দিলেন, কথা না শুনলেই গুলি চালানো হবে।’ এই মন্তব্যের পরেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে একটানা বিক্ষোভ-অবস্থান চলছে দিল্লির শাহীনবাগে। ফলে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্পষ্টতই খানিক চাপের মুখে বিজেপি। এই অবস্থায় শনিবার থেকে ভোট-প্রচারে নেমেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। দিনভর গোটা চারেক জনসভা করেন তিনি। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দিল্লিতে চলতে থাকা প্রতিবাদ নিয়ে কেজরীওয়ালের ‘আপ’ সরকারকে দায়ী করেছেন তিনি। ঘোষণা দিয়েছেন গুলি চালানোরও।
সামনেই উত্তরপ্রদেশে কানাওয়ারিয়া উৎসব। সেই উৎসবে শিবের মাথায় পানি ঢালতে যান ভক্তরা। এই সময়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে রাস্তার গাড়ি চালকদের প্রায়ই অশান্তি বাধে। যার ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এই প্রসঙ্গে যোগী ঘোষণা করেন, কেউ যদি উৎসবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাকে গুলি মারা হবে। যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘আমরা কাউকে কোনও অনুষ্ঠান পালন করতে বাধা দিই না। আইনের মধ্যে থেকে সকলেই উৎসব পালন করুক, কোনও বাধা নেই। কিন্তু কেউ যদি শিবভক্তদের বাধা দেয়, দাঙ্গা করার চেষ্টা করে, সে কথা না শুনলেই গুলি চালানো হবে।’
ঘটনাচক্রে, শনিবার নিল্লির একটি নির্বাচনী জনসভায় যখন যোগী আদিত্যনাথ এই মন্তব্য করছেন, তখনই দিল্লির শাহীনবাগে চলা প্রতিবাদ-অবস্থানে প্রকাশ্যে গুলি চালায় এক দুষ্কৃতী। তার দুই দিন আগেই জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ মিছিলে গুলি চালিয়ে এক শিক্ষার্থীকে আহত করে আর এক দুষ্কৃতী। সোমবারও সেখানে গুলি চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে ফের বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শাসক দলের নেতারাই যদি এমন প্রকাশ্যে গুলি চালানোর কথা বলেন, তাহলে সেই দলের সমর্থকরা তো প্রশ্রয় পাবেই অন্যায় করার। তাদের কাছে এই বার্তাই পৌঁছবে, যে প্রতিবাদীদের গুলি করে হয়তো পার পেয়ে যাওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দিল্লির আর একটি জনসভায় কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর চিৎকার করে স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘দেশকি গদ্দারো কো; গোলি মারো সালে কো!’ অর্থাৎ, দেশের সাথে যারা বেঈমানি করে, তাদের গুলি মারো। প্রশ্ন উঠেছিল, এমন করে গুলি মারার কথা বলা কি অসাংবিধানিক নয়?
এই ঘটনার পরেই আবার একই সুরে গুলি মারার ঘোষণা দিলেন যোগী আদিত্যনাথ। রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, শাসকদল যে সংবিধানের তোয়াক্কা করে না, তা বারবার এ ধরনের হুমকিতেই স্পষ্ট হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের ক্রমাগত প্ররোচনার ফলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র : দ্য ওয়াল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ