Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বিতাড়নের

প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত : ইমরান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মিয়ানমার স্টাইলে গণহত্যা ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) কারণে অন্তত ৫০০ মিলিয়ন মানুষ নাগরিকত্ব হারাবে। এরপর জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) তৈরির কাজ করা হবে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে আনাদোলু এজেন্সির সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাতকারে খান এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মধ্যপ্রাচ্য, আফগানিস্তান, তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক, অভ্যন্তরীণ সমস্যা, দেশের অর্থনীতি, জলবায়ুর পরিবর্তন, প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরে নয়া দিল্লির কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেন। খান বলেন, মিয়ানমারও প্রথমে এভাবে নিবন্ধন শুরু করেছিলো। ঠিক একইভাবে তারা মুসলমানদের বাদ দেয় এবং এরপর গণহত্যা সংঘটিত হয়। ভারতও একই পথে এগিয়ে চলায় আমার ভয় হচ্ছে। এই সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী খান বেশ খোলামেলা মনোভাব নিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর লাগোয়া বাসভবনের বিশাল ড্রইং রুমে বসে তিনি তুরস্কের সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে দুই ছেলেকে নিয়ে ইস্তাম্বুলে দীর্ঘদিন কাটানোর অভিজ্ঞতা স্মরণ করেন। তিনি পাকিস্তানের মাল্টি-বিলয়ন ডলারের কানেকটিভিটি প্রকল্পে তুরস্ককে অন্তর্ভুক্ত করার ইচ্ছা পোষণ করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত থেকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে উদ্বাস্তু স্রোত সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন: বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে আসামের এনআরসি থেকে বাদ পড়া কাউকে তারা গ্রহণ করবে না। খান বলেন, আসামের নাগরিকত্ব তালিকা থেকে ইতোমধ্যে ২০ লাখ লোককে বাদ দেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। আমি সঠিক সংখ্যাটি জানি না। কিন্তু এদেরকে কি করা হবে? অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ এড়ানো গেছে বলে মন্তব্য। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সা¤প্রতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টার কারণে যুদ্ধ এড়ানো গেছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি আমরা আমাদের কাজ করেছি এবং উত্তেজনা কমিয়ে এনেছি। তবে এর স্থায়ী সমাধান হওয়া উচিত। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর (সিপিইসি) নিয়ে সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেন এবং চীনের ঋণ নিয়ে আশঙ্কা বাতিল করেন দেন। ইসলামি বিশ্বজুড়ে সংঘাত নিয়ে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো আগুন নেভাবে এবং পক্ষগুলোকে একত্রিত করা যাতে দেশগুলো তাদের অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে মননিবেশ করতে পারে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যব এরদোগানের পাকিস্তান সফরে এলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশা করেন তিনি। তুরস্ক খনিসহ বহু ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে পারে। পাকিস্তানে অনেক খনি থাকলেও স্বর্ণ ও তামার মতো খনিগুলো পড়ে আছে। এসব ক্ষেত্রে তুরস্কের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চাইবে পাকিস্তান। ফলে এরদোগানের সফরটি হবে ব্যাপক। প্রধানমন্ত্রী ইমরান ১৯২০ সালের কথা স্মরণ করেন যখন উপমহাদেশের মুসলমানরা তুরস্কের কঠিন সময়ে তার পাশে দাঁড়িয়েছিলো। এই সম্পর্কের ১০০ বছর পুর্তি পালনের পরামর্শ দেন তিনি। আনাদোলু, এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইমরান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ