পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কমপক্ষে ১০ বছরের মধ্যে যেকোনো সময়ের চেয়ে ২০১৯ সালে আফগানিস্তানে রেকর্ড সংখ্যা বোমা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সংখ্যা ৭৪২৩। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, গত বছরের প্রথম অর্ধাংশে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭১৭ জন বোসমরিক ব্যক্তি। ২০১৮ সালে সেখানে বোমা ও গোলাবারুদের ফলে নিহতের সংখ্যা ছিল ৭৩৬২। সেই সংখ্যা ২০১৯ সালে এসে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা হয় ৪১৪৭টি। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে এই হামলার প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে বোমা হামলা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে বোমা হামলার ওপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য রয়েছে। কারণ, তারা আফগানিস্তান থেকে সামরিক যন্ত্রপাতি বা চাহিদা কমিয়ে এনেছে। যুক্তরাষ্ট্র বার বারই বলছে, তারা বেসামরিক মানুষের প্রাণহানী সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য চেষ্টা করে আসছে। তবে আকাশপথে বোমা হামলার বিষয়ে বার বার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার বিষয়ক গ্রæপগুলো। তাদের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের সেনাদের আকাশ পথে অভিযান পরিচালনার ফল হিসেবে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববারও উত্তরাঞ্চলীয় বলখ প্রদেশে বিদ্রোহীদের আবাসন লক্ষ্য করে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী আকাশপথে বোমা হামলা চালায়। এতে তিনটি শিশু সহ কমপক্ষে ৭ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এ মাসে হেরাত প্রদেশে তালেবানদের একজন শীর্ষ কমান্ডারকে টার্গেট করে যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন ব্যবহার করে অভিযান চালায়। তাতে কমপক্ষে ৬০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত বা আহত হয়েছেন। আফগানিস্তানে ন্যাটোর মিশন রিজোলুট সাপোর্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা শুধু আফগানিস্তানের সেবাবাহিনীকে সমর্থন দিতে আত্মরক্ষাম‚লক বিমান হামলা চালিয়েছে। একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ ছিল। অক্টোবরে জাতিসংঘ বলেছে, তালেবানদের ওষুধ প্রস্তুতকারক একটি ল্যাবরেটরিতে যুক্তরাষ্ট্র আকাশপথে হামলা চালিয়েছে বলে একটি বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট আছে তাদের হাতে। ওই হামলায় শিশু সহ কমপক্ষে ৩০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তবে এ দাবি দ্রæততার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিশন। এই অভিযান পরিচালনা করা হয় ফারাহ প্রদেশ ও প্রতিবেশী নিমরাজ প্রদেশের ৬০টি স্থাপনায়। ২০১৯ সালের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হাতে নিহত হয়েছেন ৭১৭ জন বেসামরিক মানুষ। জাতিসংঘের হিসাবে আগের বছর এই সংখ্যা শতকরা ৩১ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।