Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অতি উজ্জ্বল তারা বেটেলজাস বিস্ফোরিত হবে!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:৩৫ পিএম

বিশ্ব জুড়ে জ্যোতির্বিদরা আকাশের দিকে নজর রেখেছেন ‘জীবনে একবার আসে এমন একটি মুহূর্তের’ সাক্ষী হওয়ার জন্য। পৃথিবী থেকে দেখা যায় এমন উজ্জ্বলতম নক্ষত্রগুলোর একটি হচ্ছে বেটেলজাস। জ্যোতির্বিদরা ধারণা করছেন, এই তারাটি হয়তো সুপারনোভায় পরিণত হতে যাচ্ছে, আর এটা হতে যাচ্ছে ধারণা করা সময়ের চেয়ে অনেক আগেই। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, তারাটি বিস্ফোরিত হতে যাচ্ছে।

বেটেলজাস একটি বিশালাকার স্পন্দিত নক্ষত্র অর্থাৎ এটি একইসাথে প্রসারিত এবং সংকুচিত হয়- এই ‘প্রতিবেশী’র পরিসীমা সূর্যের চেয়ে ৫৫০ থেকে ৯২০ গুন বেশি হতে পারে। যদিও জ্যোতির্বিদরা জানেন যে, বেটেলজাস ধীরে ধীরে ‘বিস্ফোরিত’ হবে, কিন্তু সম্প্রতি হওয়া কিছু পরিবর্তন তাদের মনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। বেটেলজাসকে এরইমধ্যে ‘ধ্বংসের মুখে থাকা নক্ষত্র’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে যার বিস্ফোরণ এখন সময়ে ব্যাপার মাত্র। আমাদের সূর্য যা প্রায় ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বছর বয়সী-তার তুলনায় এই তারাটির বয়স মাত্র ৮০ লাখ থেকে এক কোটি বছর। কিন্তু এটি এর পারমানবিক জ্বালানি দ্রুত মাত্রায় ব্যয় করে ফেলছে। এটি হচ্ছে লাল একটি সুপার জায়ান্ট, একটি তারা যার আয়ু প্রায় শেষের পথে, কিন্তু এর আকার যথেষ্ট প্রসারিত হয়েছে।

গত কয়েক মাসে জ্যোতির্বিদরা লক্ষ্য করেছেন যে, বেটেলজাস ধীরে ধীরে অনুজ্জ্বল তারায় পরিণত হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রের ভিলানোভা ইউনিভার্সিটির গবেষকরা গত ডিসেম্বরে দাবি করেছেন যে, তারাটি ৫০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে অনুজ্জ্বল পর্যায়ে পৌঁছেছে। উল্লেখযোগ্য হারে উজ্জ্বলতা হারানো থেকে ধারণা করা হচ্ছে যে, এই রেড জায়ান্টটি ‘বিস্ফোরিত হতে যাচ্ছে।’

সুপারনোভা একটি শক্তিশালী এবং উজ্জ্বল বিস্ফোরণ যাতে বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। সুপারনোভায় পরিণত হওয়ার পর বেটেলজাস চাঁদের চেয়েও বেশি উজ্জ্বল হবে এবং দিনের বেলাতেও দেখা যাবে। এটা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে।

সুপারনোভা ব্যাপক হারে বিধ্বোংসী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি আমাদের সূর্য বিস্ফোরিত হয়, জ্যোতির্বিদরা বলেন, তাহলে পুরো সৌরজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের ছায়াপথ মিল্কিওয়ের কাছাকাছি সব শেষ পরিণত হওয়া সুপারনোভা হচ্ছে সুপারনোভা ১৯৮৭এ। এর আগের নক্ষত্রের বিস্ফোরণের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়েছিল এবং সেটা আমাদের ওজন স্তরে ক্ষতি করেছিল এবং এটাকে ক্ষতিকর সৌর এবং মহাজাগতিক বিকিরণের মুখে ফেলেছিল।

ভাল খবর হচ্ছে, বেটেলজাসের মতো বিস্ফোরণ হওয়ার জন্য আমাদের সূর্য আকারে খুব ছোট- যদিও পূর্বাভাস রয়েছে যে, কয়েক বিলিয়ন বছরের মধ্যে এটি আয়তনে বেড়ে যেতে পারে এবং বুধ, শুক্র এবং পৃথিবীকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, বিজ্ঞানের মতে, বেটেলজাস থেকে পৃথিবী নিরাপদ দূরত্বে রয়েছে।

নক্ষত্রটি কালপুরুষ নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত এবং পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০০ আলোকবর্ষ দূরে। এছাড়া, ২০১৬ সালে অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয় যে, শকওয়েব এবং ধ্বংস্তুপ সৌর জগতে পৌঁছাতে ৬০ লাখ বছর লাগবে। সূত্র: বিবিসি।



 

Show all comments
  • Manik Chakraborty ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:৩৩ এএম says : 0
    Biteljas destroy hote akhono pray 20 to 60 year lagbe
    Total Reply(0) Reply
  • Manik Chakraborty ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:৩৩ এএম says : 0
    Biteljas destroy hote akhono pray 20 to 60 year lagbe
    Total Reply(0) Reply
  • Manik Chakraborty ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:৩৪ এএম says : 0
    Biteljas destroy hote akhono pray 20 to 60 year lagbe
    Total Reply(0) Reply
  • Manik Chakraborty ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:৩৪ এএম says : 0
    Biteljas destroy hote akhono pray 20 to 60 year lagbe
    Total Reply(0) Reply
  • Bubai ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:৪৩ পিএম says : 0
    এই মহাআকাস এক আবাক করার জিনিস
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাকাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ